Fosbury’s Death: প্রয়াত হাইজাম্পের কিংবদন্তি, ‘ফসবারি ফ্লপ’ তাঁর নামেই
Fosbury flop: ফসবারি অলিম্পিক রেকর্ড সেট করেছিলেন। ২.২৪ মিটার লাফিয়েছিলেন তিনি। ফসবারির এই রেকর্ডের পরই অন্য়ান্য় হাইজাম্পাররাও তাঁর টেকনিকেই মন দেন। তারপর থেকেই এই পদ্ধতি 'ফসবারি ফ্লপ' নামে পরিচিতি পায়।
নয়াদিল্লি : অলিম্পিক গেমসে হাই জাম্পে এই পদ্ধতি এখন হামেসাই দেখা যায়। আগেও দেখা গিয়েছিল। তবে এই পদ্ধতিকে যিনি পথ দেখিয়েছিলেন তাঁর নাম ডিক ফসবারি। অতীতে ব্রুস কোয়ান্ডে হাই জাম্পের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে বডি রোটেট করে জাম্প করেছেন। এই পদ্ধতিকে আরও নিখুঁত করেছিলেন ডিক ফসবারি। ১৯৬৮ সালের মেক্সিকো অলিম্পিকে এই পদ্ধতিতেই হাই জাম্প করেন তিনি। সোনার পদকও জেতেন। এরপর তাঁর নামেই প্রচলিত হয়ে ওঠে ‘ফসবারি ফ্লপ’। এই পদ্ধতির শ্রষ্টা না হলেও জনপ্রিয় করেছিলেন এটুকু বলতে অত্য়ুক্তি হয় না। প্রয়াত হলেন সেই ডিক ফসবারি। দীর্ঘ দিন ধরেই লিম্ফোয়ার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। মৃত্য়ুকে লাফিয়ে পেরোতে পারলেন না। ৭৬ বছরে প্রয়াত এই অলিম্পিয়ান। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
হাইজাম্পে নবজাগরণ এনেছিলেন ডিক ফসবারি। তাঁর ব্য়তিক্রমী স্টাইল একটা সময় অন্য়দের কাছে পাথেয় হয়ে ওঠে। কিছুটা দৌড়ে শরীরে মোচড় দিয়ে জাম্প। তাঁর আগে হাইজাম্পে এই টেকনিক এত নিখুঁত দেখা যায়নি। তখনকার সময়ে যে পদ্ধতিগুলো ব্য়বহার হত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য় স্ট্র্যাডল, ওয়েস্টার্ন রোল, সিজার কিক। এই পদ্ধতিগুলির ক্ষেত্রে ল্য়ান্ডিংয়ের সময় জাম্পারের নজর থাকতো সামনের দিকেই। ফসবারি এই টেকনিকের থেকে ব্য়তিক্রমী কিছু ভাবেন। কী ভাবে অনেক বেশি লাফানো যায়। তিনি স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছিলেন। বডি টার্ন করে বার পেরোতেন, ল্য়ান্ডিংয়ের সময় নজর ওপরের দিকে।
ফসবারি অলিম্পিক রেকর্ড সেট করেছিলেন। ২.২৪ মিটার লাফিয়েছিলেন তিনি। ফসবারির এই রেকর্ডের পরই অন্য়ান্য় হাইজাম্পাররাও তাঁর টেকনিকেই মন দেন। তারপর থেকেই এই পদ্ধতি ‘ফসবারি ফ্লপ’ নামে পরিচিতি পায়। তবে মজার বিষয় হল, এর অনেক আগেই এই পদ্ধতি ব্য়বহার হয়েছিল। তাঁর নাম ব্রুস কোয়ান্ডে। তিনি অবশ্য পরিচিতি পাননি। কিংবা বলা যায়, তাঁর পদ্ধতি নিয়ে এতটা আলোচনাও হয়নি।