National level Athletics Championship: জ্যাভলিনে সোনা, বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল দিনাজপুরের অনুপ্রিয়া
জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ানশিপ থেকে সোনা জিতে বাড়ি ফেরার পর থেকেই সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসছে অনুপ্রিয়া।
কুশমণ্ডি: টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রো-তে (Javelin Throw) সোনা জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। নীরজের সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে। এতে পিছিয়ে নেই বাংলাও। জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ানশিপে, জ্যাভলিন থ্রোতে সোনা জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল অনুপ্রিয়া রায় (Anupriya Roy)। সম্প্রতি বিহারের পাটনাতে হওয়া জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ানশিপে (National level Athletics Championship) অনুপ্রিয়ার জ্যাভলিনে বিঁধেছে সোনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের অনুপ্রিয়া রায় নবম শ্রেণির ছাত্রী। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা তার। দারিদ্রতার সঙ্গে চরম লড়াই করেই জ্যাভলিন থ্রো চালিয়ে যাচ্ছে সে। তার এই সাফল্যে অনুপ্রিয়ার পরিবারসহ গোটা কুশমণ্ডিবাসী খুশি। জাতীয় স্তরের অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ানশিপ থেকে সোনা জিতে বাড়ি ফেরার পর থেকেই সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসছে অনুপ্রিয়া। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুপ্রিয়াকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিএবির সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরাও।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর এলাকায় অনুপ্রিয়া রায়ের বাড়ি। তার বাবা নীলকান্ত রায়। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন রাজ্যে কাজ করেন তিনি। নীলকান্তবাবুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি জ্যাভলিন থ্রোতে অনুপ্রিয়া ভীষণ আগ্রহী ছিল। এ বার রাজ্য অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৬ বিভাগে অনুপ্রিয়া অংশগ্রহণও করেছিল।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বিহারের পাটনাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইস্ট জোনাল জুনিয়র অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় জ্যাভলিন থ্রোতে অংশ নিয়ে সোনা জিতেছিল অনুপ্রিয়া। আগামীদিনেও জ্যাভলিন থ্রো নিয়েই এগিয়ে যেতে চায় অনুপ্রিয়া। জ্যাভলিনে সোনা জেতার পর টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে অনুপ্রিয়া বলেছে, “সোনা জিতে ভীষণ খুশি আমি। জ্যাভলিন নিয়েই পরবর্তীকালে এগিয়ে যেতে চাই।”
নাতনির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অনুপ্রিয়ার দিদা প্রমিলাবালা রায়। টিভি নাইন বাংলাকে তিনি বললেন, “ও সোনা জেতায় আমরা খুব খুশি। ও যেন এভাবেই এগিয়ে যায়, আমরা সেটাই চাই। সরকার যেন ওর পাশে দাঁড়ায়।”
অনুপ্রিয়া মানিকোর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারাধন সরকার টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, “স্কুলের সকলে ভীষণ খুশি। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীরাও অনুপ্রিয়ার জন্য সকলেই খুব খুশি। স্কুল থেকে আমরা যতটা পেরেছি ওকে সাহায্য করেছি। আমাদের স্কুলে শারীরশিক্ষার শিক্ষক রয়েছেন। আমাদের স্কুল থেকে অনুপ্রিয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে আমরা ওকে আশ্বাস দিয়েছি যে, আমরা সব সময় ওর পাশে থাকব। ও এগিয়ে যাক, সেটাই আমরা চাই।”