Thomas Cup 2022: ভাবিইনি ভারত থমাস কাপ জিততে পারে: প্রকাশ পাড়ুকোন
চোট আঘাতে জর্জরিত ভারতীয় টিম যে থমাস কাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করবে, তা কখনও ভাবেননি প্রকাশ পাড়ুকোন। প্রণয়-শ্রীকান্তদের এই সাফল্য যে চিরকালীন ছাপ রেখে যাবে, তিনি নিশ্চিত।
ব্যাঙ্কক: ব্যাডমিন্টন তো বটেই, ভারতীয় খেলাধুলোর ক্ষেত্রেও বিরাট সাফল্য হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়। তিনিও সে ভাবেই করছেন। মালয়েশিয়া, ডেনমার্ক ও ইন্দোনেশিয়াকে পর পর হারিয়ে থমাস কাপে (Thomas Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় টিম। এইচএস প্রণয় (HS Pronnoy), কিদাম্বি শ্রীকান্ত (Kidambi Srikanth), লক্ষ্য সেনদের (Lakshya Sen) এই সাফল্য ব্যাডমিন্টনের নকশা যে পাল্টে দেবে, তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের কিংবদন্তি প্রকাশ পাড়ুকোনও (Prakash Padukone) ভাবেননি এ ভাবে ইতিহাস পাল্টে দেবেন শ্রীকান্তরা। ১৪বার থমাস কাপ চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে ফাইনালে দাঁড়াতেই দেননি ভারতীয় শাটলাররা। এমন দাপট সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। অতীতেও এর খুব একটা ঝলক যে ছিল, তাও বলা যাবে না। ভারতের এই সাফল্য আসলে ক্রীড়া জগতের ‘রেড লেটার ডে’।
প্রকাশের কথায়, ‘পুরো থমাস কাপে ভাগ্যের কোনও সহায়তা ভারতীয় টিম পায়নি। আমরা এই সাফল্য অর্জন করেছি। সত্যি কথা বলতে কী, আমি কখনওই ভাবিনি যে টিম হিসেবে এই সাফল্য পেতে পারি। ব্যাডমিন্টন তো বটেই এটা নিশ্চিত ভাবেই ভারতীয় খেলার রেড লেটার ডে। ব্যাডমিন্টন দুনিয়ায় ভারত এ বার থেকে বড় টিমগুলোর বন্ধনীতে জায়গা পাবে। এই সাফল্য পাওয়ার জন্য প্রচন্ড খেটেছে ছেলেরা। মালয়েশিয়া, ডেনমার্ক, ইন্দোনেশিয়ার মতো টিমগুলোকে হারানো সহড ছিল না। বিশেষ করে সপ্তাহের শুরু দিকে পুরো পরিস্থিতিই জটিল ছিল। চোট আঘাত, প্লেয়ারদের না পাওয়া— অনেক কিছুর জন্য সেরা টিম নামানো কঠিন ছিল। তবে এটাই ভারতের সেরা টিম।’
৪৩ বছর আগে প্রকাশ পাড়ুকোনরা ভারতীয় টিমকে থমাস কাপের সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এতদিন এটাই ছিল সেরা সাফল্য। সিঙ্গলসে যেমন শ্রীকান্ত, প্রণয়, লক্ষ্যরা অসাধারণ খেলেছেন, তেমনই সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি, চিরাগ শেঠীরা নিজেদের ডাবলস ম্যাচটা ছিনিয়ে নিতেই চাপ কমে গিয়েছিল ভারতের। প্রকাশ বলছেন, ‘টিমের সব প্লেয়ারই নিজেদের মতো করে টিমে অবদান রেখেছে। কিন্তু টিমের সেরা প্লেয়ার যদি খুঁজতে হয়, সাত্বিক আর চিরাগের কথা বলতে হবে। টিমের জেতার ক্ষেত্রে ওরা একটা দুরন্ত ভারসাম্য তৈরি করেছিল। এর আগে ডাবলস ম্যাচগুলোই ছিল আমাদের দুর্বলতম অংশ। সেটাই ওরা পাল্টে দিয়েছে। ওরা ডাবলস ম্যাচ জেতার ফলে জেতার ভারসাম্য পেয়ে গিয়েছিল টিম। ওরা নিজেদের ডাবলস ম্যাচ জেতায় সিঙ্গলস প্লেয়ারদের উপর আর চাপ ছিল না।’
ভারতের এই সাফল্যের ফলে থমাস কাপ নিয়ে এ বার থেকে আগ্রহ বাড়বে দেশবাসীর। প্রকাশের কথায়, ‘টেনিসের ডেভিস কাপ লোকে যতটা চেনে, থমাস কাপ ততটা চেনে না। এ বারের খেতাব জয়ের ফলে দেশবাসীরা থমাস কাপকে চিনতে পারল।’