Dipa Karmakar: ডোপ টেস্টে ব্যর্থ, ২১ মাস নির্বাসিত জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার
Dope Test: নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার জন্য দীপাকে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করল আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি।
নয়াদিল্লি: ডোপ পরীক্ষায় (Dope Test) ব্যর্থ বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার (Dipa Karmakar)। যার ফলে কড়া শাস্তির মুখে বাংলার মেয়ে। নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার জন্য দীপাকে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করল আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি। রিও অলিম্পিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে কোনও খেলার অংশ নিতে পারেননি। আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনকে দীপার নির্বাসনের খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর দীপার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। অবশেষে সেই নমুনার নিরিখে তাঁর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
দীপার এই নির্বাসন বহাল থাকলে চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে তদন্ত চলছিল বলে এতদিন তিনি কোনও খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। যার ফলে সেটাকে শাস্তি হিসেবে দেখা হবে। আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “দীপা কর্মকারকে ২১ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। যা চলবে ২০২৩ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত। এফআইজি এর অ্যান্টি ডোপিং রুলসের ১০.৮.২ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।”
দীপা নিজে টুইটারে ২ পাতার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এক দীর্ঘ লড়াই আজ শেষের পথে। নিজের জন্য, নিজের কেরিয়ারের জন্য এতদিন লড়াই করছিলেন দীপা। তিনি জানান, কীভাবে তাঁর নমুনার মধ্যে নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে নিজেও ধন্দে। কীভাবে তাঁর শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থ গিয়ে তা ভেবে কুল কিনারা পাননি। তিনি ঠিক করেন, প্রভিসনাল সাসপেনশন কাটাবেন। দীপা জানান, তিনি খুশি যে এই বিষয়টির সমাধান হল। তাঁর নির্বাসন কয়েক মাস কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ এর জুলাইয়ে তিনি ফের জিমন্যাস্টিক্সে ফেরার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। একইসঙ্গে দীপা জানান, বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি WADA-র পক্ষ থেকে ২ বছরের নির্বাসনের শাস্তি পেয়েছেন। দীপা পরিষ্কার জানান, এই তথ্য ভুল এবং মিথ্যে। তিনি জানান, পুরো কেরিয়ার জুড়ে দীপা কখনও নিষিদ্ধ কিছু সেবনের কথাও ভাবেননি।
— Dipa Karmakar (@DipaKarmakar) February 4, 2023
আইটিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীপা কর্মকারের শরীরে হাইজিনামিন নামের একটি নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। যা বিটা-২ এর অধীনে পড়ে। এটি বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ ড্রাগসের তালিকায় রয়েছে। হাইজিনামিন ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রথমদিকে দীপা কর্মকারের নির্বাসনের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। জানা গিয়েছিল, ডোপ পরীক্ষার জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (WADA) তরফে ডাকা হয়েছিল দীপাকে। তিনি নাকি সেই ডাক উপেক্ষা করেছিলেন। যে কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও এখন আসল তথ্য পরিষ্কার। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এখনও অবধি যেহেতু দীপা কোনও খেলায় অংশ নেননি, তাই এই সময়টা তাঁর নির্বাসনের অংশ হিসেবে বিবেচ্য হচ্ছে। ফলে, চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর ওপর থেকে নির্বাসন উঠে গেলে তিনি আবার জিমন্যাস্টিক্সে ফিরতে পারবেন।