রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের জন্য বৈপ্লবিক নিময় আইওসির
ছ'পাতার এক রিপোর্টে আইওসি কিছু ব্যাপার খুব স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিশ্ব মানবতার কথা মাথায় রেখে রূপান্তরকামী বা উভলিঙ্গ অ্যাথলিটদের কোনও মিটে নামার জন্য হরমোন মাত্রা বাড়ানোর বা কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা যাবে না।
লুসেন: রূপান্তরকামী ও উভলিঙ্গ অ্যাথলিটদের জন্য নতুন নিয়ম নিয়ে এল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC)। অতীতে এই ধরনের ক্রীড়াবিদদের নানা পরীক্ষার মুখে পড়তে হত। যা একপ্রকার লাঞ্ছনার সমান ছিল। এই বিতর্ক থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি এই রকম অ্যাথলিটদের সম্মান যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, তা নিয়েও সচেতন আইওসি।
ছ’পাতার এক রিপোর্টে আইওসি কিছু ব্যাপার খুব স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিশ্ব মানবতার কথা মাথায় রেখে রূপান্তরকামী বা উভলিঙ্গ অ্যাথলিটদের কোনও মিটে নামার জন্য হরমোন মাত্রা বাড়ানোর বা কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা যাবে না। কমিটির তরফে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘খেলাটা সবার জন্য। সে উভলিঙ্গের হোক আর রূপান্তরকামী, মাঠে নামার ক্ষেত্রে তাকে আটকানো যাবে না। শুধু তাই নয়, প্র্যাক্টিসে নিরাপত্তা যেমন থাকবে তার, তেমনই লাঞ্ছনার শিকারও হবে না। তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতেই হবে।’
টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) প্রথম রূপান্তরকামী অ্যাথলিট হিসেবে নেমেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ভারোত্তোলক লরেল হুবার্ট। টোকিও গেমসে এটা ছিল ঐতিহাসিক ঘটনা। ২০১৫ সালে আইওসি এইরকম অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অনেক অ্যাথলিটকেই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ঠিক করতে চিকিৎসাও করাতে হয়েছে। তার আর কোনও প্রয়োজন রইল না। বিশ্ব তো বটেই, ভারতেও এমন ঘটনা কম নেই।
ক্রিস মরিস ছিলেন আমেরিকার প্রথম রূপান্তরকামী অ্যাথলিট। ২০১৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছিলেন তিনি। আইওসির নতুন নিয়ম ঘোষণার পর মরিস টুইটারে লিখেছেন, ‘মানবাধিকারকে কেন্দ্র করে খেলাটা এ বার আরও শক্ত জমির উপর গিয়ে দাঁড়াল। এ বার থেকে টেস্টোস্টেরন ক্ষরণের উপর কোনও অ্যাথলিটের যোগ্যতা নির্ভর করবে না।’