Novak Djokovic: জোর করলেও করোনার প্রতিষেধক নেবেন না জোকার
ভ্যাকসিন ইস্যুতে এখনও অনড় মনোভাব নোভাক জকোভিচের। তিনি করোনার প্রতিষেধকের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এই প্রতিষেধক নেবেন কিনা, তা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভ্যাকসিন না নেওয়ার জন্য যদি কোনও গ্র্যান্ড স্লাম খেলতে না পারেন, তাতেও নিজের মনোভাব বদলাবেন না জোকার।
লন্ডন: জোর করে ভ্যাকসিন নেবেন না তিনি। মরসুমের অন্য তিনটে গ্র্যান্ড স্লাম যদি খেলতে না দেওয়া হয় তাঁকে, তা হলেও আপোস করবেন না। ভ্যাকসিন না নেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open 2022) নামতে পারেননি নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অস্ট্রেলিয়া সরকার তাঁর ভিসা বাতিল করে দেয়। দেশ থেকেও বের করে দেওয়া হয় বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রাফায়েল নাদাল (Rafael Nadal)। তাতেও জোকারকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তিনি বরং একরোখা মনোভাবই রাখছেন করোনার প্রতিষেধক নিয়ে। তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই ভ্যাকসিন নেবেন না সার্বিয়ান টেনিস তারকা। জোকার এই মনোভাব প্রকাশ করার পর আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জকোভিচের না খেলতে পারা নিয়ে যখন চরম বিতর্ক চলছে, তখন ফরাসি ওপেনের আয়োজকরা বলেছিলেন, তাঁদের দেশে খেলতে গেলে প্রতিষেধক নিতে হবে না জোকারকে। পরে আবার ফরাসি সরকার জানিয়েছিল, কোভিড-নীতি অনুযায়ী জকোভিচকেও নিতে হবে ভ্যাকসিন। তবেই খেলতে পারবেন এই মরসুমের ফরাসি ওপেন। ইউরোপ জুড়ে নতুন করোনা-নিয়ম চাপে ফেলে দিয়েছে টেনিস প্লেয়ারকে। স্পেনে বাড়ি থাকলেও স্প্যানিশ সরকারের তরফেও বলা হয়েছে, প্রতিষেধক নিলে তবেই নিজের বাড়িতে যেতে পারবেন তিনি।
পরিস্থিতি যখন এতটাই জটিল, তখন জোকার কিন্তু বলে দিচ্ছেন, ‘অন্যদের মতো আমিও মাথায় রেখেছিলাম, ভবিষ্যতে প্রতিষেধক নেব। করোনা শেষ করতে সামগ্রিক ভাবে এটা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দিতে চাই, ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে আমি নই। কখনওই ছিলাম না। কিন্তু নিজের শরীরে কে কী নেবে, তার স্বাধীনতা থাকা উচিত। এটা কিন্তু যএ কোনও টুর্নামেন্ট জেতার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার শরীর নিজের মতোই রাখতে চাই।’ এই সিদ্ধান্তের জন্য যদি উইম্বলডন, ফরাসি ওপেন কিংবা অন্য টুর্নামেন্ট খেলতে না পারেন? প্রশ্নর উত্তরে জোকার স্পষ্ট বলেছেন, ‘এই মূল্য চোকানোর জন্য আমি তৈরি।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মিটে গেলেও জোকার এখনও চর্চাতেই রয়েছেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর ডাক্তারদের দুটো কমিটির কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য়। কিন্তু মেলবোর্ন বিমানবন্দরেই সীমান্তরক্ষা বাহিনীর অফিসাররা তাঁর ভিসা বাতিল করে দেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জোকার। তাঁর পক্ষেই রায় দেওয়া হয়েছিল। তার পর দ্বিতীয় বার ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। জোকার কূটনীতির অংশ হয়ে ওঠেন। সার্বিয়া ওই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাতেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা সম্ভব হয়নি তাঁর। সেই জোকার কিন্তু করোনার প্রতিষেধক নিয়ে নিজের মনোভাব বদলাননি।
আরও পড়ুন : Serena Williams: ১০ বছর আগেই অবসরের পরিকল্পনা করে রেখেছেন সেরেনা