Manika Batra: আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না, বলছেন মনিকা
সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনার পর থেকেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল।
নয়াদিল্লি: সুবিচার পেলেন। এ ভাবেই ব্যাখ্যা করছেন মনিকা বাত্রা (Manika Batra)। টিটিএফআইএ-র (TTFI) বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুম্বইয়ের টেবল টেনিস প্লেয়ার। টোকিও গেমসের যোগ্যতা অর্জন পর্বে, গত বছর মার্চ মাসে এশিয়ান টিটি চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁকে একটি ম্যাচ ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন জাতীয় টিমের কোচ সৌম্যদীপ রায়। আর এক বাঙালি টিটি প্লেয়ার সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়কে অলিম্পিকের টিকিট দেওয়ার জন্য। দিল্লি হাইকোর্টের তদন্ত কমিটি বাঙালি কোচকে দোষী সাবস্ত করেছে। টিটিএফআই-এর কার্যকরী কমিটিকেও ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি।
মনিকা বলছেন, ‘আমি নিজের সর্বস্ব দিয়েছি, যাতে দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। সরকারও সব সময় আমার পাশে থেকেছে। আমি বাধ্য হয়েছিলাম কোর্টের দ্বারস্থ হতে। আর কোনও রাস্তা আমার ছিল না। অলিম্পিকের সময় কিছু ঘটনার প্রভাব আমার খেলায় পড়েছিল। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পিছনে একটাই কারণ ছিল, যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারি। আর কখনও যাতে এমন ঘটনা অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে।’
সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনার পর থেকেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল। কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী টেবল টেনিস প্লেয়ার বলছেন, ‘জীবনে একটাই লক্ষ্য আমার, খেলার জগতে এমন কিছু করা যাতে দেশকে সাফল্য দিতে পারি। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক এবং সাই প্লেয়ারদের পাশে সব সময় থাকে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য পায়।’