FORMULA 1: “শ্যুমাখার বেঁচে আছেন, অন্যভাবে”

 আট বছরে যে কিছুই বদলায়নি, তা মেনে নিচ্ছেন শ্যুমাখারের স্ত্রী

FORMULA 1: শ্যুমাখার বেঁচে আছেন, অন্যভাবে
শ্যুমাখার কেমন আছেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 1:35 PM

লন্ডন: সাত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শ্যুমাখার কেমন আছেন? ২০১৩ সালে স্কি করতে গিয়ে মাথায় চোট পেয়ে দীর্ঘ কোমায় চলে গিয়েছেন ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি। তার পর থেকে শ্যুমাখারের পরিবারও সেই অর্থে প্রকাশ্যে খোলাখুলি কোনও মন্তব্য করেনি। এই প্রথম স্বামীকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী কোরিন্না।

নেটফিক্সে তাঁকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান করতে চলেছে। যা সারা বিশ্ব জুড়ে প্রিমিয়ার হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। তাতেই কোরিন্না বলেছেন, ‘মাইকেল বেঁচে আছে এখনও। হয়তো অন্য রকম ভাবে। তবুও, ও বেঁচে আছে। এখনও ও আমাদের শক্তি যোগায়। আমি সেটা অনুভব করতে পারি।’

শ্যুমাখার মানে রেসিংয়ের ট্র্যাকে এক অন্য ব্যক্তিত্ব। যিনি সাফল্যের চূড়ায় উঠেছিলেন একসময়। যাঁকে কিংবদন্তিও মেনে নিয়েছিল রেসিং দুনিয়া। আট বছর কোমায় থাকা সেই এফ-ওয়ান ড্রাইভার কি আবার উঠে দাঁড়াবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কোরিন্না বলেছেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে বাড়িতে থাকি। ওর জন্য থেরাপি চলছে। মাইকেলকে ভালো রাখার জন্য যা যা দরকার, তাই করি। যাতে ওকে আরও ভালো রাখতে পারি। যাতে ওকে বোঝাতে পারি, ও পরিবারের মধ্যে আছে। আর ওকে ঘিরে আছি আমরা।’

আট বছরে যে কিছুই বদলায়নি, তা মেনে নিচ্ছেন শ্যুমাখারের স্ত্রী। এই ক’টা বছর বিছানায় কাটালেও মাইকেল তাঁর কাছে আগের মতোই। কোরিন্না বলেছেন, ‘যাই ঘটে যাক না কেন, আমার পক্ষে যা যা সম্ভব, তাই করব। আমরা সবাই মিলে করব। আমরা যাই করি না কেন, সব সময় পরিবার হিসেবেই করি। ঠিক যে ভাবে থাকতে ভালোবাসত মাইকেল, ঠিক যে ভাবে আজও থাকতে চায়, আমরা সে ভাবেই চলার চেষ্টা করি।’

শ্যুমাখারের ছেলে মিকও নেমে পড়েছেন বাবার দুনিয়াতেই। হাসের হয়ে রেসের ট্র্যাকে অভিষেক হয়েছে তাঁর। বাইরের দুনিয়া আর শ্যুমাখারের বাড়ি ভেতরটা বরাবর আলাদা থেকেছে। সেটাই আজও বজায় রাখার চেষ্টা করেন কোরিন্না, মিক। শ্যুমাখারের কথায়, ‘যা ব্যক্তিগত, তা ব্যক্তিগতই থাকে। এটা মাইকেল সব সময় বলত। ওর এই কথাগুলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই ও যাতে ওর ব্যক্তিগত জীবনটা আগের মতোই উপভোগ করতে পারে, সেই চেষ্টাই আমি করি। মাইকেল বরাবর আমাদের আগলে রাখত। এখন আমরা মাইকেলকে আগলে রাখার চেষ্টা করি।’