কোচেদের আরও ক্ষমতা দরকার, বলছেন গোপীচাঁদ

ভারতের ব্যাডমিন্টনের মান আগের থেকে অনেকটাই পাল্টেছে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলো থেকে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন ভারতীয় শাটলাররা। এই পথটা তৈরি করেছিলেন গোপীই (Pullela Gopichand)।

কোচেদের আরও ক্ষমতা দরকার, বলছেন গোপীচাঁদ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 7:43 PM

নয়াদিল্লি: দ্বিতীয় সারির বিদেশি কোচ দিয়ে দ্বিতীয় সারির প্লেয়ার তৈরি করা সম্ভব। যদি চ্যাম্পিয়ন তৈরি করতে হয়, তা হলে সেরা বিদেশি কোচদের সঙ্গে সেরা দেশি কোচও লাগবে। এই দুই কোচের (Coach) সংমিশ্রনই ভারতকে সেরার আসনে নিয়ে গিয়ে বসাবে। আর কেউ নন, অলিম্পিকের (Olympics) মাস দেড়েক আগে এমনই মন্তব্য পুল্লেলা গোপীচাঁদের (Pullela Gopichand)।

গোপীচাঁদের হাত ধরেই এক সময় উঠে এসেছিলেন সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal)। তাঁর হাতেই যাত্রা শুরু হয়েছিল পিভি সিন্ধুরও (PV Sindhu)। ভারতের জাতীয় ব্যাডমিন্টন (Badminton) টিমের কোচ গোপীচাঁদ পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ‘বিদেশি কোচ সব সময় দরকার। না হলে উন্নতি সম্ভব নয়। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, বিদেশি কোচের সঙ্গে দেশি কোচের মিশ্রনটাও খুব জরুরি।’

কেন এমন বলছেন গোপী, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘সাফল্য আনতে গেলে বিদেশি কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ দরকার। যারা শুরু থেকে একটা ধারা তৈরি করে দেবে। কিন্তু শুধু বিদেশি কোচ দিয়ে সবটা আসবে না। ওই সব বিদেশি কোচদের থেকে যতটা সম্ভব শিখে নিয়ে ভারতীয় কোচদেরই দেশের তারকাদের জন্ম দিতে হবে। কারণ, বিদেশি কোচরা কিন্তু দ্বিতীয় সারির প্লেয়ার তৈরি করবে। চ্যাম্পিয়ন করতে হলে ভারতীয় কোচদেরই লাগবে।’

ভারতের ব্যাডমিন্টনের মান আগের থেকে অনেকটাই পাল্টেছে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলো থেকে ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন ভারতীয় শাটলাররা। এই পথটা তৈরি করেছিলেন গোপীই। তিনি বলছেন, ‘আমরা কিন্তু কখনওই সেরা বিদেশি কোচ আনার মতো জায়গায় থাকি না। সব সময় দ্বিতীয় সারির বিদেশি কোচ আনি। সেই কারণেই আমার মনে হয়, দেশের প্রাক্তন প্লেয়ারদের যদি কোচ হিসেবে তৈরি করা যায়, তারাই কিন্তু দেশকে সর্বোচ্চ স্তরে পদক এনে দেওয়ার জন্য মরিয়া লড়াই করবে।’

কোচ বনাম প্লেয়ার তত্ত্বের মুখে পড়তে হয়েছে গোপীচাঁদকেও। সেই কারণেই কোচদের আরও ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করলেন তিনি। ‘কোচদের কখনও রাজ্য সংস্থা, প্রশাসনের অধীনে কাজ করতে হয়। কখনও তাদের নতিস্বীকার করতে হয় প্লেয়ারদের কাছে। কারণ একজন প্লেয়ার যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন সে কোচেরও উর্ধ্বে উঠে যায়। তখন অ্যাথলিটেরই কখা শুধু শোনা হয়। এই মডেলটার বদল দরকার। কোচের হাতে বেশি ক্ষমতা না থাকলে সে কখনওই স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে না।’

আরও পড়ুন: ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের স্থান ধরে রাখল ভারত