Maruti Suzuki ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! এই কারণে 2023-এর জানুয়ারি থেকে সব গাড়ির দাম বাড়ছে

Maruti Suzuki Price Hike: 2023 সালের জানুয়ারি মাস থেকেই Maruti Suzuki-র সব গাড়ির দাম বাড়ানো হবে। কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইনপুট খরচ বাড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Maruti Suzuki ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! এই কারণে 2023-এর জানুয়ারি থেকে সব গাড়ির দাম বাড়ছে
নতুন বছরে সব গাড়ির দাম বাড়াচ্ছে মারুতি সুজ়ুকি। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 4:59 PM

Maruti Suzuki তার গাড়ির দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই মারুতি বিস্তৃত রেঞ্জের গাড়ির দাম বাড়তে চলেছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) ফাইলিং অনুযায়ী, ইনপুট খরচের চাপ সামাল দিতেই এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী এই দাম বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ভর করছে বলে সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে।

বৃহস্পতিবার রেগুলেটরি ফাইলিংয়ের সময় Maruti Suzuki-র তরফ থেকে বলা হয়েছে, “কোম্পানি যেখানে সামগ্রিক ভাবে কস্ট কমানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কিছু খরচের সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলেই মারুতি সুজ়ুকির প্রায় সমগ্র রেঞ্জের গাড়িগুলির দামই বাড়ানো হবে।” 2023 সালের জানুয়ারি মাস থেকেই Maruti Suzuki-র সব গাড়ির দাম বাড়ানো হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

বিগত কয়েক মাসে দেশের প্রায় সমস্ত ব্র্যান্ডের গাড়ির মডেলের বিক্রিবাট্টা ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গেই আবার সমানতালে বেড়েছে ব্র্যান্ডগুলির পারচেজ়িং কস্টও। চলতি বছরে Maruti Suzuki একাধিক বার তার বিভিন্ন মডেলের দাম বাড়িয়েছে। অন্যান্য ব্র্যান্ডগুলিও পারচেজ়িং কস্ট সামাল দিতে মারুতি সুজ়ুকির পথ অনুসরণ করেই তাদের বিভিন্ন মডেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। যদিও 2023 সালের জানুয়ারি মাস থেকে Maruti Suzuki তার গাড়িগুলির দাম কত টাকা করে বাড়াতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

Tata Motors যেমন তাদের একাধিক গাড়ির দাম বাড়িয়েছে, তেমনই আবার Hyundai গত সেপ্টেম্বরে Creta, Venue, i20 এবং Grand i10 NIOS এর মতো গাড়িগুলির দাম বাড়িয়েছে। এদিকে Kia তার Carens MPV-র দাম বাড়িয়েছে 50,000 টাকা পর্যন্ত। শুধু তাই নয়। লাগজ়ারি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা Audi এবং Mercedes-Benz এর মতো কোম্পানি তাদের গাড়িগুলির দাম বাড়িয়েছিল চলতি বছরে।

দাম বাড়ানোর এহেন দুঃসংবাদ যে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সামগ্রিক বিক্রিবাট্টায় প্রভাব ফেলবে, তা একপ্রকার পরিষ্কার। আর সেই দিকটা মাথায় রেখেই দেশের OEMগুলি রিপোর্ট করেছে, অর্ডারের পর গাড়িগুলির ডেলিভারি পেতে উপভোক্তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কখনও কখনও অপেক্ষার সেই সময়সীমা 18 মাসও ছাপিয়ে যাচ্ছে।

যদিও প্রোডাকশন, অর্ডার এবং সেই অনুযায়ী ডেলিভারির সামঞ্জস্য রাখার এহেন সমস্যাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল কোভিড অতিমারির পর পরই। তার সবথেকে বড় কারণটি হল, সেমিকন্ডাক্টর চিপের অভাব, যা এখন অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছে দেশের গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।