Tesla Model 3 ইলেকট্রিক গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কার্যত উড়ে এসে বহুতলে ধাক্কা মারল এই Electric Car
Tesla Model 3: জানা গিয়েছে, গাড়ির ব্রেক চালু করতে পারেননি চালক। আর তার জেরেই এই অঘটন ঘটেছে। তবে এ যাত্রায় কারও কোনও চোট-আঘাত লাগেনি।
Tesla Model 3– এই Electric Car সম্প্রতি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই ঘটনার CCTV Footage নেট দুনিয়ায় Viral হয়েছে। ওই Video-তে দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনার আগে কার্যত কোথা থেকে যেন উড়ে এল Tesla-র Electric গাড়িটি। জানা গিয়েছে, ওহিও- র কলম্বাসে এই কাণ্ড ঘটেছে। Viral Video-তে দেখা গিয়েছে একটি ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে একের পর এক গাড়ি দ্রুত গতিতে চলেছে। সব গাড়িই অবশ্য নিয়ম মেনে এগিয়ে চলছে। হঠাৎ রাস্তার এক প্রান্ত থেকে সাংঘাতিক গতিতে কার্যত যেন উড়ে এল একটি Tesla Model 3 Electric গাড়ি। চোখের নিমেষে সামনে থাকা একটি কনভেনশন সেন্টারে গয়ে ধাক্কা মারল ওই গাড়িটি। চুরচুর হয়ে ভেঙে পড়ল গাছ। ওই বিল্ডিংয়ের সামনে কিছু গাছের টব রাখা ছিল। সেগুলোও ভেঙে গিয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছে মাটি। সব মিলিয়ে জঘন্য পরিস্থিতি। Video-তে আবার দেখা গিয়েছে, গাড়িটি মারাত্মক ভাবে ওই কনভেনশন সেন্টারে এসে ধাক্কা মারার পর বিল্ডিংয়ের ভিতর অনেকটা ঢুকে গিয়েছে। আশপাশ থেকে কিছু লোকজনও ছুটে এসেছেন ঘটনার বীভৎসতা দেখে।
দেখুন সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার Viral Video
জানা গিয়েছে, গাড়ির ব্রেক চালু করতে পারেননি চালক। আর তার জেরেই এই অঘটন ঘটেছে। তবে এ যাত্রায় কারও কোনও চোট-আঘাত লাগেনি। জানা গিয়েছে, যখন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তখন গাড়ির গতি ছিল ১১২ কিলোমিটার/ঘণ্টা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কনভেনশন সেন্টারে ধাক্কা মারার আগে একবার ট্র্যাফিক সিগন্যালও ভেঙেছিলেন চালক। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই Tesla গাড়ির চালক একটি হলুদ সিগন্যাল পার করার চেষ্টায় ছিলেন। আর সেই জন্যই গাড়ির গতি একটুও কমাননি তিনি। ক্রমশ একের পর এক গাড়িকে পাশ কাটিয়ে মারাত্মক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল ওই Tesla মডেল। শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রাস্তার সামনে থাকা একটি কনভেনশন সেন্টারে ধাক্কা মেরে ঢুকে পড়েছিল গাড়িটি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চালু ছিল অটো পাইলট মোড। ভাগ্য ভাল থাকার এত ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরেও কেউ চোট আঘাত পাননি কেউ। চালকের হাতে অবশ্য সামান্য চোট লেগেছে। তবে সার্বিকভাবে সুস্থই রয়েছে তিনি। কিন্তু এই দুর্ঘটনার ফলে ওই কনভেনশন সেন্টারের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব আগের মতো ঠিকঠাক করে সাজাতে গেলে দু’কোটি টাকার উপর খরচ হতে পারে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই কনভেনশন সেন্টারে প্রতিদিনই কিছু না কিছু অনুষ্ঠান, ইভেন্ট থাকে। দুর্ঘটনার দিনও মেয়েদের (জুনিয়র) ভলিবল টুর্নামেন্ট ছিল। যদিও এই ঘটনার ওই টুর্নামেন্টের কোনও ক্ষতি হয়নি। কেউ চোয়, আঘাতও পায়নি।