মঙ্গলগ্রহের বুকে ‘অদ্ভুত’ পাথরের খোঁজ পেল রোভার পারসিভের্যান্স, চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রোভার পারসিভের্যান্সে রয়েছে 'rock-zapping laser'। এর সাহায্যে মঙ্গল গ্রহের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কিত নমুনা এবং তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। এই লেসারের সাহায্যেই হদিশ পাওয়া নতুন পাথরেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে।
মঙ্গল গ্রহের বুকে বেশ অনেকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে নাসার পাঠানো রোভার পারসিভের্যান্স। বিভিন্ন পর্যায়ে ইতিমধ্যেই একাধিক যন্ত্রাংশ লাল গ্রহের বুকে লঞ্চ করেছে এই রোভার। আপাতত তৈরি হচ্ছে ‘মার্স হেলিকপ্টার’। মঙ্গল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছে এই হেলিকপ্টার। তবে উড়ান শুরু হতে দেরি রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
কিন্তু লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে হেলকপ্টার নামার পরই একটি ‘অদ্ভুত’ পাথরের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদি এই পাথরের গঠন প্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্যই করেননি বিজ্ঞানীরা। তবে জানা গিয়েছে, এই পাথর ৬ ইঞ্চি (১৫ সেন্টিমিটার) লম্বা। এর মধ্যে রয়েছে অনেক হোল বা গর্ত। এবার লেসার রশ্মির মাধ্যমে এই পাথরের অসংখ্য হাইপোথিসিস হবে। তারপরই পাথরের গঠন, প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারবেন গবেষকরা।
এমনিতেই বলা হয় মঙ্গল গ্রহ হল মেটিওরাইটস বা উল্কা খণ্ডের স্বর্গরাজ্য। এর আগে যতবারই লাল গ্রহে রোভার পাঠানো হয়েছে, তত বারই উল্কার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। তাই এই ‘অদ্ভুত’ পাথর উল্কার অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এখনও কিছুই প্রমাণিত হয়নি। তবে কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
While the helicopter is getting ready, I can’t help checking out nearby rocks. This odd one has my science team trading lots of hypotheses.
It’s about 6 inches (15 cm) long. If you look closely, you might spot the row of laser marks where I zapped it to learn more. pic.twitter.com/sq4ecvqsOu
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) March 31, 2021
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, রোভার পারসিভের্যান্সে রয়েছে ‘rock-zapping laser’। এর সাহায্যে মঙ্গল গ্রহের ভূপ্রকৃতি সম্পর্কিত নমুনা এবং তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। এই লেসারের সাহায্যেই হদিশ পাওয়া নতুন পাথরেরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। যখন পাথরের উপর লেসার কাজ করবে তখন তার শব্দও শোনা যায় মাইক্রোফোনে। মার্চ মাসের শুরুর দিকে এই জাতীয় (লেসার কাজ করার সময় রিদমিক ট্যাপিং সাউন্ড) একটি ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছিলেন নাসা কর্তৃপক্ষ। মূলত জ্যাপিং সাউন্ডের ভ্যারিয়েশনের সাহায্যেই বিভিন্ন ফিজিক্যাল স্ট্রাকচারের গঠন-প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লাল গ্রহের আবহাওয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপের ফলেই সেখানকার বিভিন্ন ভূ-প্রকৃতিক গঠন তৈরি হয় এবং সেগুলি বেশ শক্ত আবরণ যুক্ত হয়। তার উপর লেসার পড়লেই এই ট্যাপিং বা জ্যাপিং রিদমিক শব্দ তৈরি হয়। আর সেই শব্দ থেকেই জানা যাবে যে, আদৌ এই পাথরের মঙ্গল গ্রহের অংশ নাকি আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে নতুন করে তৈরি হওয়া কোনও কিছু নাকি সত্যিই উল্কার অংশবিশেষ।