AC ও Cooler-এর মধ্যে পার্থক্য কী? সস্তা থেকে সুস্থতা, পরিবেশ দূষণ থেকে কুলিং, আপনার জন্য কোনটা ভাল?
Cooler vs AC: অনেকেই AC কিনবেন বলে মনোস্থির করেছেন, অনেকে আবার AC বা COOLER-এর মধ্যে কোনটা নেবেন, তা ঠিক করে উঠতে পারছেন না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে, তাঁদের আমরাই আজ সাহায্য করব। এসি ও কুলারের মধ্যে মূল কয়েকটি পার্থক্য জেনে নিন।
AC vs Cooler: গরমটা চরম পড়ে গিয়েছে। দেশের বেশির ভাগ প্রান্তেই মানুষের নিজ-নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী, AC, Cooler বা হাই-স্পিড ফ্যান চলতে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই এসি কিনবেন বলে মনোস্থির করেছেন, অনেকে আবার এসি বা কুলারের মধ্যে কোনটা নেবেন, তা ঠিক করে উঠতে পারছেন না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে, তাঁদের আমরাই আজ সাহায্য করব। এসি ও কুলারের মধ্যে মূল ফারকগুলি কী, আপনার শরীরের জন্য কোনটা ভাল, এমনই সব জরুরি তথ্যগুলি জেনে নেওয়া যাক।
বাজেট – AC-র তুলনায় এয়ার কুলারের দাম অনেকটাই কম হয়। এই মুহূর্তে আপনি যেখানে 22,000 টাকার কমে এসি পাবেন না। ঠিক সেখানেই মাত্র 3,000 টাকা থেকে 4,000 টাকা খরচ করলেই আপনি একটা কুলার কিনতে পারবেন। বাজারে একাধিক ছোট কুলারও রয়েছে। তবে বাড়িতে সাধারণত একটু বড় সাইজ়ের কুলার ব্যবহার করা হয়।
ইনস্টলেশন – এয়ার কুলারের জন্য আলাদা করে ইনস্টলেশনের প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে যে কোনও জায়গায় তা রাখতে পারেন, যেখানে থেকে আপনি ভাল হাওয়া পেতে পারেন এবং আপনার ঘরের জন্যও আদর্শ অবস্থান। এসি ইনস্টল করতে আপনাকে ইলেকট্রিশিয়ান ডাকতে হয়, তা সে স্প্লিট এসি হোক বা উইন্ডো এসি। স্প্লিট এসির ক্ষেত্রে ইনডোর এবং আউটডোর দুই ইউনিটেরই প্রয়োজন হয়, যার একটি আপনার ঘরে থাকে, আর একটি ঘরের বাইরে।
ফিচার্স – এয়ার কন্ডিশনারে থাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। বিল্ট-ইন সেন্সর থেকে শুরু করে হিউমিডিফায়ার, ফিল্টার, ঘর ঠান্ডা করার জন্য ডাস্ট ক্লিনারের মতো একাধিক ফিচার্স থাকে এসিতে। Air Cooler-এ কিন্তু এত ফিচার্স থাকে না। খুব সাধারণ ইভাপোরেটিভ কুলিং প্রিন্সিপালে কাজ করে এয়ার কুলার।
পরিবেশ বান্ধব – Air Cooler কার্বন নিঃসরণ করে না। সেই জায়গায় একটা এসি উচ্চ মাত্রায় ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) নিঃসরণ করে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে যে সব মানুষের, তাঁদের জন্য এয়ার কন্ডিশনার মোটেই ভাল নয়। তাঁদের এয়ার কুলার ব্যবহার করা উচিত।
কুলিং – আর্দ্র জায়গায় কুলার সে ভাবে কাজ করতে পারে না। এসি সেখানেও ভাল ভাবে কাজ করে। তাছাড়াও এসি যতটা দ্রুততার সঙ্গে আপনার ঘর ঠান্ডা করবে, কুলার ততটা জলদি ঘর ঠান্ডা করতে পারবে না। কুলার খুবই ধীর গতিতে কাজ করে এবং আপনার ঘরের সর্বত্র তা ঠান্ডা ছড়িয়ে দিতে পারে না।
বিদ্যুৎ খরচ – AC-র তুলনায় একটা Cooler অনেক কম শক্তি খরচ করে। কারণ, এসি গরম বাতাস বের করে দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে দেয়। AC-কে ঘর ঠান্ডা করতে যতটা কসরত করতে হয়, তা কুলারকে করতে হয় না। ফলে, এসি শক্তিও অনেক বেশি পরিমাণে খরচ করে, তাই তা চালালে ইলেকট্রিসিটি বিলও বেশি আসে। কুলারের ক্ষেত্রে ভাল দিকটি হল, এটি কম ভোল্টেজেও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে।
প্লেসমেন্ট – কুলার আপনি আউটডোর বা ইনডোর যে কোনও জায়গায় রাখতে পারেন এবং দুই জায়গাতেই তা কাজ করে। কিন্তু এটিকে আপনি ইনস্টল করতে পারবেন না। কারণ, তাতে বায়ু চলাচলের জন্য সঠিক বন্দোবস্তের প্রয়োজন। তাই, বায়ু চলাচল করে এমন ঘরেই আপনাকে কুলার বসাতে হবে। অন্য দিকে AC কেবল মাত্র ইনডোরেই কাজ করে। এটিকে আপনি প্রায় সবরকমের ঘরেই ইনস্টল করতে পারেন।
রক্ষণাবেক্ষণ – AC প্রতিদিন রক্ষণাবেক্ষণ করার দরকার হয় না। তবে কুলারে আপনাকে প্রতিদিন জল ঢালতে হবে। তাছাড়াও কুলার থেকে যথাযথ ঠান্ডা বাতাস পেতে আপনাকে প্রতিদিন তা পরিষ্কারও করতে হবে। এসির ক্ষেত্রে তা নয়। AC আপনি প্রতি মরশুমে একবার সার্ভিসিং করলেই হয়ে যায়।