Ants Can Detect Cancer: নাক নেই তো কী হয়েছে, প্রস্রাবের গন্ধ শুঁকে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার চিনতে পারে পিঁপড়ে
Scientific Research: বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য একটি সহজ উপায় খুঁজছিলেন। আপনি জানলে খুশি হবেন যে, এখন পিঁপড়ারা ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারবে।
Liquid Biopsy News: প্রতি মাসে ক্যান্সারের (Cancer) চিকিৎসায় দেরি হওয়ার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি 10% বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এটি সনাক্ত করার জন্য একটি সহজ উপায় খুঁজছিলেন। আপনি জানলে খুশি হবেন যে, এখন পিঁপড়ারা (Ants) ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারবে। অর্থাৎ রক্ত, ঘাম বা প্রস্রাবের মাধ্যমে রোগ সনাক্ত করতে পারবে পিঁপড়েরা। যাকে লিকুইড বায়োপসিও বলা হচ্ছে। শরীরে উপস্থিত ক্যানসারের কারণে শরীর থেকে ভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল বের হয়। উদ্বায়ী জৈব যৌগ নামক এই রাসায়নিকগুলি ঘাম এবং প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এখন পিঁপড়ারা এই রাসায়নিকের গন্ধ পেয়ে তা শনাক্ত করবে যে, কারও ক্যান্সার হয়েছে কি-না।
বিজ্ঞানীদের মতে, নতুন এই গবেষণাটির জন্য গবেষকরা 70টি পিঁপড়েকে ব্যবহার করেছিলেন। এই পিঁপড়েগুলি ফর্মিকা ফুসকা (Formica fusca) প্রজাতির। যা ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই পিঁপড়েগুলি কোনও খরচ এবং শরীরের ক্ষত ছাড়াই অনেকাংশে ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারবে। পিঁপড়েগুলিকে ইঁদুরের প্রস্রাবের (Mice’s Urine) সংস্পর্শে আনা হয়। একদিকে ছিল সুস্থ ইঁদুরের প্রস্রাব আর অন্য়দিকে ছিল টিউমার যুক্ত ইঁদুরের প্রস্রাব। গবেষণায় তিনটি ট্রায়াল নেওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, টিউমার যুক্ত ইঁদুরের প্রস্রাব এবং সুস্থ ইঁদুরের প্রস্রাবের মধ্যে পার্থ্যক্য করতে পারছে পিঁপড়েরা। একে তরল বায়োপসি (liquid biopsy) বলা হয়। প্রায় এক দশক ধরে, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এমনই একটি বায়োপসি পদ্ধতি খুঁজছেন যা শরীরের তরল যেমন রক্ত বা ঘাম থেকে ক্যান্সার সনাক্ত করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, ক্যান্সার কোষ শনাক্তকরণের জন্য কুকুরকে আগে কাজে লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এই কাজে তাদের চেয়েও বেশি উপযুক্ত পিঁপড়ে। তবে পিঁপড়েকে ট্রেনিং দেওয়া কুকুরের তুলনায় অনেক কম সময়সাপেক্ষ। কুকুরকে এই বিষয়ে ট্রেনিং দিতে যেখানে 6 মাস সময় লেগেছিল। সেখানে পিঁপড়ের ক্ষেত্রে 10 মিনিটে ট্রেনিং দেওয়া যাবে। ক্যান্সার নিয়ে আগেও পিঁপড়ের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল যে, পিঁপড়ার মধ্যে পাওয়া রাসায়নিক, ক্যান্সারের ওষুধের প্রভাব 50 গুণ বাড়িয়ে দেয়। ‘স্কর্পিয়ান গ্রাস’ নামক উদ্ভিদেও এই রাসায়নিক পাওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হল ক্যান্সার। 2018 সালে, প্রতি 6 জনের মধ্যে 1 জনের মৃত্যু হয়েছে কোনও না কোনও ক্যান্সারের কারণে। ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ক্যান্সারের চিকিত্সা শুরু করতে এক মাস দেরি করলেও মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় 10% বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সময়মতো ক্যান্সার শনাক্ত করা জীবন বাঁচাতে অনেক সহায়ক হতে পারে।