China Mars Mission: নাসার পর এবার মঙ্গলে এয়ারক্র্যাফট পাঠাচ্ছে চিন, কী থাকছে এই এয়ারক্র্যাফটে?
চিন ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহে তার প্রথম ক্রু মিশনের পরিকল্পনা করছে। আশা করা হচ্ছে এই প্রোটোটাইপের মঙ্গলে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই মঙ্গল সম্বন্ধে নাসা আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠবে।
কয়েক মাস আগে লাল গ্রহে রোবটিক রোভারের ঐতিহাসিক অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছিল চিন। চিনের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার মতে ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযানে নজরদারি করার জন্য একটি ছোট হেলিকপ্টারের প্রোটোটাইপ তৈরি করা হচ্ছে।
বুধবার চিনের ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সেন্টারের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি ছবিতে চিনের এই প্রোটোটাইপের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। প্রোটোটাইপটি দেখতে নাসার তৈরি করা একটি প্রোটোটাইপের অনুরূপ। নাসা তার পার্সিভারেন্স মিশনের জন্য যেমন প্রোটোটাইপটি (Ingenuity) বানিয়েছিল, চিনের এই প্রোটোটাইপটি অনেকটাই একইরকমের দেখতে।
সংস্থাটি বলেছে যে এই প্রোটোটাইপ হেলিকপ্টারটি মঙ্গল গ্রহে চিনের প্রতিনিয়ত ফলো-আপ আর এই গ্রহে তাদের নিজস্ব এক্সপ্লোরেশনের হাতিয়ার হতে পার। যদিও এই প্রোটোটাইপের মূল উদ্দেশ্য সম্বন্ধে চিনের তরফ থেকে বিস্তারিত বিস্তারিত কিছু জানানো হয় নি।
চিন সাম্প্রতিককালে প্রথমবার মঙ্গল গ্রহে রোভার অবতরণের কাজে সফল হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চিন এই নজির স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে। নাসার সবচেয়ে উন্নত রোভার ফেব্রুয়ারিতে এই লাল গ্রহে অবতরণ করেছিল। নাসার কিউরিওসিটি রোভার এখনও নিজের প্রাত্যহিক গবেষণা সফল ভাবে চালিয়ে যেতে পেরেছে।
নাসার এই রোভার থেকে Ingenuity এয়ারক্রাফটটি এপ্রিল মাসে মঙ্গলে অবতরণ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটার (১০ ফুট) উপরে উঠেছিল এই এয়ারক্র্যাফট। মানবজাতির ইতিহাসে প্রথমবার পৃথিবীর বাইরে কোনও গ্রহে একটা এয়ারক্র্যাফট ওড়ানো সম্ভব হয়েছিল।
১.৮ কেজি (৪ পাউন্ড) Ingenuity-এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই লাল গ্রহের খুব পাতলা বায়ুমণ্ডল। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ১ শতাংশ।
অ্যারোডাইনামিক লিফটের অভাব পূরণ করার জন্য নাসার ইঞ্জিনিয়াররা রটার ব্লেড দিয়ে মারাত্মক কৌশল করে এই এয়ারক্র্যাফট সাজিয়েছিলন। এই ব্লেডগুলি ১.২ মিটার দীর্ঘ ছিল যা এই এয়ারক্র্যাফটকে আগাগোড়া (৪ ফুট) ঢেকে রেখেছিল। এছাড়া এই ব্লেডগুলির স্পিন সাধারণ এয়ারক্র্যাফটের চেয়ে অনেক বেশি রাখা হয়েছিল যাতে প্রায় বায়ুশূন্য স্থানেও এটি ভেসে থাকতে পারে।
Ingenuity-এর মতো, চিনা প্রোটোটাইপেও দুটি রটার ব্লেড, একটি সেন্সর-ক্যামেরার বেস এবং চারটি পাতলা পা যোগ করা হয়েছে। কিন্তু ফটোগ্রাফ অনুসারে, Ingenuity-এর মতো এই এয়ারক্র্যাফটের মাথায় কোনও সোলার প্যানেল নেই।
Ingenuity এপ্রিল থেকে ১০ টিরও বেশি ট্রিপ করেছে। এগুলি মোটামুটি ২০ মিনিটের ফ্লাইটে প্রায় ২ কিমি (১.২ মাইল) এর বেশি দূরত্ব যেতে পেরেছে।
চিন ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহে তার প্রথম ক্রু মিশনের পরিকল্পনা করছে। আশা করা হচ্ছে এই প্রোটোটাইপের মঙ্গলে ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই মঙ্গল সম্বন্ধে নাসা আরও বেশি সচেতন হয়ে উঠবে। খুব তাড়াতাড়িই নাসার তরফ থেকে আরেকটি রোভার পাথানর সম্ভাবনাকে একদমই সরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: মঙ্গলগ্রহে পাথর খোঁড়ার জন্য ‘বিশেষ পদ্ধতি’র সাহায্য নিয়েছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স