China Digging Earth: পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করছে চিন, 10 কিলোমিটার নিচ অবধি খুঁড়ে কী খুঁজছে তারা?

Latest Science News: পৃথিবীর অভ্যন্তরে কী ঘটছে, তা কি সব বিজ্ঞানীদের পক্ষে জানা সম্ভব? তবে অনেক অজানাকেই জানাতে পরিণত করতে চিন একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করতে চলেছে দেশটি। এমনকি 10 কিলোমিটার খুঁড়েও ফেলেছে।

China Digging Earth: পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করছে চিন, 10 কিলোমিটার নিচ অবধি খুঁড়ে কী খুঁজছে তারা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2023 | 5:00 AM

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মহাকাশ বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকার চেষ্টা চালিয়ে চলেছে। এমনকি কিছু কিছু দেশ তাদের সাফল্যের পতাকা উত্তোলন করেও ফেলেছে। তবে পৃথিবীর অভ্যন্তরের রহস্য বুঝতে বিশ্ব এখনও অনেক পিছিয়ে, সে কথা বলা যেতেই পারে। পৃথিবীর অভ্যন্তরে কী ঘটছে, তা কি সব বিজ্ঞানীদের পক্ষে জানা সম্ভব? তবে অনেক অজানাকেই জানাতে পরিণত করতে চিন একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পৃথিবীর গভীরে প্রবেশ করতে চলেছে দেশটি। এমনকি 10 কিলোমিটার খুঁড়েও ফেলেছে। প্রায় 10টি স্তর খনন করার পরে, চিন ক্রিটেসিয়াস সময়ের (145 মিলিয়ন বছর) পাথর বের করে আনতে পারবে। যদিও এমনটাই ধারণা করছে চিন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ফলে প্রাচীন যুগের পাথরের খোঁজে লেগে পড়েছে চিনা বিজ্ঞানীরা।

চিন কি তবে রেকর্ড করতে চলেছে?

যদিও চিনের এই খনন প্রক্রিয়া কোনওভাবেই রেকর্ড করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরও একটি কারণ আছে। তা হল 24 মে, 1970-এ রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কোলা উপদ্বীপে প্রায় 11 কিলোমিটার খোঁড়া হয়েছিল। আর সেখান থেকেই জানা গিয়েছিল, মাটির নীচে এত গভীরে থাকা পাথরগুলিতে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে।

কিন্তু কেন খোঁড়া হয়েছিল পৃথিবীকে?

কারণ এর আগে, বিজ্ঞানীরা আশা করেছিলেন যে এই শিলাগুলির মধ্য দিয়ে জল প্রবেশ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত ছিলেন যে, সমুদ্রের ভূত্বকে পাওয়া যায় এমন বেসাল্টের স্তরও পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকতে পারে। কিন্তু ফলাফল যা হাতে এসেছিল, তা সম্পূর্ণ আলাদা। আগ্নেয় শিলার পরিবর্তে, বিজ্ঞানীরা রূপান্তরিত গ্রানাইট খুঁজে পেয়েছিলেন।

পৃথিবীকে খুঁড়ে ফেলা এটতাই সহজ?

পৃথিবীর অভ্যন্তরে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার খুঁড়ে যাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। 1960-এর দশকে, এক আমেরিকান বিজ্ঞানীর দলকে অব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক সমস্যার কারণে প্রকল্পটি বাতিল করতে হয়েছিল। চাইনিজ একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষাবিদ জিনশেং-এর মতে, পৃথিবীর ভূত্বক পরিবর্তনশীল। গড়ে এটি প্রায় 30 কিলোমিটার পুরু। ফলে যতটা সহজে করা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, ততটা সহজে এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়।