Octopuses: সঙ্গমের পর নিজেদেরই অত্যাচার করে মেরে ফেলে অক্টোপাসরা, কারণটা এত দিন পর জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা

Why Octopuses Torture And Kill Themselves: অক্টোপাসরা যে নিজেরাই নিজেদের হত্যা করে, তা কি জানতেন? কখন করে আর কেনই বা করে, এই সব তথ্য সম্পর্কেই এবার এক আশাব্যঞ্জক ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির হলেন বিজ্ঞানীরা।

Octopuses: সঙ্গমের পর নিজেদেরই অত্যাচার করে মেরে ফেলে অক্টোপাসরা, কারণটা এত দিন পর জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা
কেন নিজেদের হত্যা করে অক্টোপাসরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 9:59 PM

অক্টোপাস (Octopus) যেমন ভীতি প্রদশর্ন করতে ওস্তাদ, তেমনই আবার কম আকর্ষণীয়ও নয়। জলের নীচে কীভাবে তারা ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে, তা সাধারণ মানুষের ধারণার বাইরে। কিন্তু অক্টোপাস নিয়ে এমনই কিছু তথ্য রয়েছে, যা আমাদের প্রায় সকলেরই অজানা। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অক্টোপাসরা নিজেরাই নিজেদের অত্যাচার করে। আর কখন তারা একে অপরকে অত্যাচার করে জানেন? ঠিক সঙ্গমের পরেই অক্টোপাসরা একে অপরকে অত্যাচার করে মৃত্যুর (Torture And Kill) দিকে ঠেলে দেয়। যদিও সঙ্গম-পরবর্তী অক্টোপাসদের মৃত্যুর ঘটনাটি প্রকৃতিতে অস্বাভাবিক নয় (সঙ্গমের পরে প্রথমে মেয়েদের এবং তারপর পুরুষের শিরশ্ছেদ করা হয়), বরং এটি ভয়াবহ। কিন্তু কেন এমনটা করে থাকে অক্টোপাসরা? দীর্ঘ দিন ধরে এরই কারণ খুঁজে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিকতম একটি গবেষণায় অক্টোপাসদের এমন বিরলতম প্রকৃতির ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকদের মতে, একজন মা অক্টোপাস তাদের ডিম পাড়ার সময় ঘটে যাওয়া রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে মিলনের পর নিজেদের নির্যাতন করে। ১৯৭৭ সালের অন্য আর একটি গবেষণারকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এই নতুন গবেষণায়। সেখানে বলা হয়েছিল, অক্টোপাসের চোখের কাছাকাছি কিছু গ্রন্থির কারণেই নিজেদের ধ্বংস করে তারা। প্রকৃতপক্ষে স্টেরয়েড হরমোন তৈরি করে অক্টোপাসেরা, ডিম পাড়ার সময় যার উৎপাদন তীব্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই অক্টোপাসরা নিজেদের নির্যাতন করতে একপ্রকার বাধ্য হয়।

এদিকে নতুন গবেষণা থেকে তিনটি পৃথক রাসায়নিক পরিবর্তন সম্পর্কে জানা গিয়েছে, মা অক্টোপাস যখন ডিম পাড়ে, একই সময়ে সেগুলির তার উপর দিয়ে যায়। এটি শুরু হয় প্রেগ্নেনোলোন এবং প্রোজেস্টেরনের বৃদ্ধির সঙ্গে – যেগুলি আসলে অনেক প্রাণীর প্রজননের জন্য ব্যাপক ভাবে দায়ী দুটি হরমোন।

গবেষকরা আরও একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। যখন অক্টোপাসেরা উচ্চ মাত্রার ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল উৎপাদন শুরু করে, তখন রাসায়নিক পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি এমন হতে পারে যা অক্টোপাসগুলিকে নিজেদের অত্যাচার করার জন্য ট্রিগার করে। সঙ্গম শেষ হওয়ার ঠিক পরক্ষণেই এমনটা হয়। ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল হল কোলেস্টেরলের একটি বিল্ডিং ব্লক যা অত্যন্ত বিষাক্ত হিসেবেও পরিচিত।

এছাড়াও গবেষকরা অক্টোপাসের অপটিক গ্রন্থিগুলিকে আরও উপাদান তৈরি করতে দেখেছিল, যারা পিত্ত অ্যাসিড তৈরি করে। এই সমস্ত রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি অক্টোপাসগুলিকে আকস্মিক ভাবে এমন আচরণ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করে।

যদিও গবেষকদের কাছে এই সাম্প্রতিকতম অধ্যয়ন সম্পর্কে বিশেষ কোনও যুক্তি নেই। তবে রিসার্চের মূল গবেষক জেড ইয়ান ওয়াং সংবাদমাধ্যম লাইভসায়েন্স-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তরুণ প্রজন্মদের বাঁচাতে এমনটা করে থাকে অক্টোপাসেরা। কারণ, প্রকৃতিতে তারা নরখাদক বলে পরিচিত।