Brainstorming In Offices: একমাত্র অফিসে বসেই মিটিং করলে ভাল চিন্তাভাবনার উদয় হতে পারে, ভিডিয়ো কনফারেন্সে অসম্ভব, দাবি গবেষণায়

Video Conference: ভিডিয়ো কনফারেন্স নাকি অফিসে বসে মিটিং? কোন জায়গায় আপনার মাথা সবথেকে বেশি খুলতে পারে? নতুন একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, অফিসে বসে মিটিং করলেই সবথেকে ভাল আইডিয়া দিতে পারেন কর্মীরা। কেন এমনটা বলা হচ্ছে, তার পিছনের যুক্তিটা জেনে নিন।

Brainstorming In Offices: একমাত্র অফিসে বসেই মিটিং করলে ভাল চিন্তাভাবনার উদয় হতে পারে, ভিডিয়ো কনফারেন্সে অসম্ভব, দাবি গবেষণায়
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 6:57 PM

কোভিড অতিমারির কারণে কিছুটা বাধ্য হয়েই বহু দিন বহু মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। আর সেই যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) শুরু হল, আজও অনেক কোম্পানিরই কর্মচারীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে চলেছেন। সেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনই রয়েছে কিছু অসুবিধাও। সুবিধার দিকটা হল, বাড়ি থেকে কাজ করলে মানুষ পরিবারের সঙ্গেও কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারেন। কারণ, অফিসে যাতায়াত করতে গিয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় না মানুষের। অসুবিধার দিকটা হল, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নামে আরও বেশি করে কাজ, কারও সঙ্গে আড্ডা নেই, নেই কথাবার্তা। শুধু ভিডিয়ো কনফারেন্স করেই কেটে যায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিনগুলো। এবার একটি গবেষণা থেকে জানা গেল, ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের (Video Conference) ক্ষেত্রে ব্রেনস্টর্মিং (Brainstorming) ততটাও কার্যকর হয় না, যতটা অফিসে বসে সম্ভব। এমনকী, ভিডিয়ো কনফারেন্স একজন ব্যক্তির ব্রেনস্টর্ম করার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কলাম্বিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই গবেষণাটি করে দেখেছেন। ১,৫০০ জনকে নিয়ে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। ভিডিয়ো কনফারেন্সের জন্য সেই ১৫০০ জনকে বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়েছিল। আর তারপরেই তাঁদের নতুন প্রডাক্ট আইডিয়া নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল।

গবেষণার সময় রিসার্চাররা লক্ষ্য করেন, একটা নির্দিষ্ট টপিকে আইডিয়া নিয়ে আসার জন্য যাঁদের ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিতে বলা হয়েছিল, তাঁরা এক ঘণ্টায় গড়ে ৭.৪৩ আইডিয়া নিয়ে আসতে পেরেছিলেন। অন্য দিকে যাঁদের অফিসে বসে বিভিন্ন টপিকে আইডিয়েট করতে বলা হয়েছিল, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৮.৫৮ আইডিয়া নিয়ে হাজির হতে পেরেছিলেন। পাঁচটি ভিন্ন সাইটের ক্ষেত্রে এই একই প্যাটার্ন লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

এই গবেষণাপত্রের সহ-লেখক প্রফেসর মেলানি ব্রাকস বলছেন, এমনকী যদি ভিডিয়ো ইন্টার‌্যাকশন একই তথ্য কমিউনিকেট করতে পারে, সে ক্ষেত্রে একটি অন্তর্নিহিত এবং উপেক্ষিত শারীরিক পার্থক্য থেকে যায়, যা মনস্তাত্ত্বিক ভাবে কখনই হওয়া উচিৎ নয়। অফিসে গিয়ে ইন-পার্সন কোনও একটা মিটিং করলে সেখানে কোনও বাধা থাকে না। কিন্তু ভার্চুয়াল স্পেসে একজন অন্য আর একজনের কমিউনিকেট করার সময় সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই ডিভাইসের স্ক্রিন, যা প্রায় সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রতিটি সদস্যের জন্যই সমান সমস্যার।

রিসার্চাররা আরও দাবি করছেন, “আমাদের এই ডেটা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, ভার্চুয়ালি কমিউনিকেট করার সময় কমিউনিকেটররা তাঁদের ভিজ্যুয়াল স্ক্রিনে বেশি মনোনিবেশন করে থাকেন। এর দ্বারা মানুষের পেরিফেরাল ভিজ্যুয়াল উদ্দীপকগুলি ফিল্টার হয় এবং তার ফলে আখেরে মানুষের ভাবনা-চিন্তার প্রক্রিয়া অনেকটাই সংকুচিত হয়।” এই সব কারণেই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে মানুষের চিন্তাভাবনার প্রক্রিয়াটি এক জায়গাতেই আটকে থেকে যায়।

আরও পড়ুন: মানুষের মতো ভাষার প্রয়োগ করেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলে মাশরুমরা, নতুন গবেষণায় অবাক করা তথ্য

আরও পড়ুন: এলিয়েনরা তুলে নিয়ে যাবে! এই ভয়ে বাড়ি ছেড়েই বেরোচ্ছেন না মহিলা

আরও পড়ুন: মঙ্গলগ্রহে কম্পন! ইনসাইট ল্যান্ডারের সিসমোমিটারে ধরা পড়ল দু’টি কম্পন, তীব্রতা কত জানেন?