Post Poll Violence: পার্টি অফিসে আশ্রয় ঘরছাড়াদের
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে ভাংচুর চালানো হচ্ছে৷ দেওয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি।
ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে ঘর ছাড়া শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। প্রতিদিন ঘরছাড়াদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়৷ বর্তমানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ১০০ বেশি দলীয় কর্মী সমর্থক আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সকলেই শাসক দলের দুষ্কৃতিদের দ্বারা অত্যাচারিত। শুধুমাত্র বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নয় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে। যদিও বিজেপি রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য এমনটা পরিকল্পনা মাফিক করছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাটক করছেন এই সব নিয়ে বলেই তৃণমূলের পালটা দাবি।
জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে ভাংচুর চালানো হচ্ছে৷ দেওয়া হচ্ছে প্রাণ নাশের হুমকি। ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে জেলার শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক ঘর ছাড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে সব জায়গায় জয়ী ও পরাজিত হয়েছে সব জায়গাতেই এই সন্ত্রাস সমান ভাবে চলছে। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশ প্রসঙ্গে জানালে সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর তারা আসছে। ততক্ষণে তো সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই প্রাণভয়ে পরিবার সহ বিজেপি কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তারা আদৌ ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রতিদিনই ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা বাড়ছে জেলায়।
জেলা বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হিংসা কোনভাবে কমছে না। বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে প্রার্থীদের উপর নানা রকম ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তাই এখন পর্যন্ত একশোর বেশি দলীয় কর্মী সমর্থক জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।