‘পেঙ্গুইন জুটি’, বছর শেষে সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন তারাই, দেখুন ভাইরাল ছবি
এর মধ্যেই ওশানোগ্রাফিক ম্যাগাজিনের তরফে এই ছবির জন্য ‘ওশান ফটোগ্রাফি’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন Tobias Baumgaertner।
সম্প্রতি নতুন করে ভাইরাল হয়েছে পুরনো এক পেঙ্গুইন জুটির ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে পুরনো ছবি নতুন করে ভাইরাল হওয়াই ট্রেন্ড। তবে এই দুই পেঙ্গুইনদের প্রেমের পিছনে রয়েছে বিষাদের করুণ গল্প। যদিও সেই দুঃখ ভুলে এখন তারা সুখী।
চলতি বছর আমাদের সামনে কঠিন থেকে কঠিনতম পরিস্থিতি এনে দিয়েছে। কিন্তু বছর শেষে এমন একটা ছবি লেন্সবন্দি হওয়া সত্যিই দারুণ আনন্দের খবর। এর মধ্যেই ওশানোগ্রাফিক ম্যাগাজিনের তরফে এই ছবির জন্য ‘ওশান ফটোগ্রাফি’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন Tobias Baumgaertner। এই ম্যাগাজিনের ‘কমিউনিটি চয়েস’ অ্যাওয়ার্ড ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে St Kilda Pier-এ তোলা হয়েছে এই ছবি।
View this post on Instagram
জানা গিয়েছে, এই দুই পেঙ্গুইন-ই তাদের সঙ্গীকে হারিয়েছে। তারপর থেকেই এরা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করে। ফটোগ্রাফারের কথায়, স্বজন হারানোর ব্যথা রয়েছে দু’জনেরই। তাই একে অন্যের দুঃখের সঙ্গী হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’জনের বন্ধুত্ব বেড়েছে। এখন প্রায় রোজই ডেটিংয়ে যায় তারা। এই দুই পেঙ্গুইনের রয়েছে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এরা Fairy penguins। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট হয় এই প্রজাতির পেঙ্গুইন। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল এবং নিউজিল্যান্ডে এই পেঙ্গুইনের দেখা পাওয়া যায়।
জার্মান ফটোগ্রাফার Tobias Baumgaertner আগের একটি ইনস্টা পোস্টে জানিয়েছিলেন, মেলবোর্নের ওই নির্দিষ্ট এলাকায় একটি পাথরের উপর এসে বসে দুই পেঙ্গুইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সমুদ্র দেখে। আকাশ দেখে। সমুদ্র এবং আকাশের মিলনস্থলের ঝিকমিকে আলো দেখে। মাঝে মাঝে হেঁটেচলে এদিক-ওদিক যায়। একসঙ্গে সময় কাটায়। গত বছর মার্চ মাসে এই ছবি তোলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তখনই ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করে এই পেঙ্গুইন জুটির গল্প সকলকে জানিয়েছিলেন।
ছবিতে যে সাদা পেঙ্গুইনটিকে দেখা গিয়েছে সে আসলে মহিলা। এবং অন্য পেঙ্গুইনটির তুলনায় বয়সে বড়। এই মেয়ে পেঙ্গুইনটি তার সঙ্গীকে হারিয়েছে। তেমনই বয়সে ছোট পুরুষ পেঙ্গুইনটিও তার সঙ্গিনীকে হারিয়েছে। এরপর থেকেই এদের মধ্যে ধীরে ধীরে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। দুই পেঙ্গুইনই প্রকৃতি প্রেমী। তাই আপাতত আকাশ আর সমুদ্র দেখেই সময় কাটাচ্ছে তারা। জার্মান ফটগ্রাফার জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে এই ছবি তুলেছিলেন তিনি। তারপর শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।