বাবা-ছেলের রোমহর্ষক কাণ্ড! ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ করে দাবি ১০ লাখের মুক্তিপণ

Crime: অপহৃত ব্যবসায়ী দেবনাথ দাসের পরিবারের অভিযোগ, গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান দেবনাথবাবু। অনেক খুঁজেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।

বাবা-ছেলের রোমহর্ষক কাণ্ড! ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ করে দাবি ১০ লাখের মুক্তিপণ
বাঁদিক থেকে, ধৃত ,সফিউর রহমান (বাবা), অপহৃত ব্যবসায়ী দেবনাথ দাস, ধৃত অবয়ুষ (ছেলে), নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 8:39 PM

হাওড়া: পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে এক লোহার ব্যবসায়ীকে অপহরণ (kidnap) করে ১০ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, টাকা না পেলে  বা ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে  লিলুয়ায়। অবশেষে পুলিশের তত্‍পরতায় উদ্ধার হলেন ওই ব্যবসায়ী। গ্রেফতার করা হল  অভিযুক্তদের।

অপহৃত ব্যবসায়ী দেবনাথ দাসের পরিবারের অভিযোগ, গত বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান দেবনাথবাবু। অনেক খুঁজেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। এরপরেই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে। বলা হয়,  ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তবেই পাওয়া যাবে দেবনাথকে। এমনকী, হুমকি দেওয়া হয়,  মুক্তিপণ চাওয়ার কথা জানাজানি হলে বা টাকা না পেলে ওই ব্যবসায়ীকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে অভিযোগ। এরপরেই, ডোমজুড় থানায় ছোটেন দেবনাথের স্ত্রী মঙ্গলা দাস। তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ।

ব্য়বসায়ী দেবনাথের  কথায়, “গত বুধবার দুপুরে আমার বন্ধু সফিউর রহমান ফোন করে ডেকে পাঠায়। সফিউর ব্য়বসায়ী। বুধবার দিন আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখি ওর ছেলে অবয়েষ খানও রয়েছে। ব্য়বসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্যই আমায় ওরা ডেকে পাঠিয়েছিল। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি রেস্তোরায় আমাদের দেখা হয়। সেখানে কথা বলার পর একসঙ্গেই ফিরব ঠিক হয়। সেখান থেকেই ওরা গাড়িতে তুলে নেয় আমাকে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও গাড়ি কোলাঘাট থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার দিকে ঘুরতেই বুঝতে পারি আমায় অপহরণ (kidnap) করা হয়েছে। গাড়িতে তখন ৭-৮ জন লোক ছিল। তাই কিছু বলতে পারিনি।”

দেবনাথ আরও জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা তাঁকে সোজা তমলুকের চানসেনপুরে সফিউরের পৈতৃকবাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঙ্গলা দাস বলেন, “বুধবার রাতে আমায় ফোন করে বলা হয়, ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মেরে দেবে ওকে। ছোট ছেলে শাশুড়িকে নিয়ে থাকি। অসহায় অবস্থায় ডোমজুড় থানায় ছুটে যাই। সেথানে অভিযোগ দায়ের করি।”

ডোমজুড় থানার পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে  মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তমলুকে অপহরণকারীদের ডেরায় হানা দেন তদন্তকারীরা। ।তল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় দেবনাথবাবুকে। তমলুকেই ধরা পড়ে এক অভিযুক্ত। অন্যজনকে কলকাতার তপসিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত দুজন সম্পর্ক বাবা-ছেলে। পাওনা টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে এই অপহরণ বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। আরও পড়ুন: বিক্রির সময়ে শুধু বদলে যেত প্যাকেজিং, পুলিশি অভিযানে প্রকাশ্যে রেশনের কালোবাজারি!