Higher Secondary Exam: জঙ্গলে ‘টহল’ হাতির! উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথমদিনেই ফাঁপরে পরীক্ষার্থীরা, ‘অ্যাকশনে’ বন দফতর
Higher Secondary Exam: এদিকে আবার শুরু হয়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক। এমন পরিস্থিতিতে শেষমেশ 'জীবনের বড় পরীক্ষায়' কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো হাতির দাপট?

হিরক মুখোপাধ্যায় ও দেবব্রত সরকারের প্রতিবেদন
বাঁকুড়া: পরীক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো হাতির দাপট। আজ থেকে বাংলায় শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলতি বছর, শেষবারের মতো পুরনো পাঠক্রমে হবে উচ্চ মাধ্যমিক। ২০২৬ সাল থেকে জীবনের ‘দ্বিতীয় বড় পরীক্ষায়’ বিরাট বদল এনেছে সরকার। সেমেস্টার সিস্টেমে ভাগে ভাগে হবে পরীক্ষা।
তবে এই পরীক্ষার আবহেই কিন্তু বড় ‘চ্যালেঞ্জের’ মুখে পড়েছেন জঙ্গলসংলগ্ন এলাকার পরীক্ষার্থীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বিভিন্ন বনাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। মূলত, সেখানকার বড়জোড়া ব্লকের পাবয়া, ডাকাইসিনি, কালপাইনি, খাঁড়ারি ও ফুলবেড়িয়া-সহ জঙ্গল সংলগ্ন একাধিক গ্রামেই বেড়ে হাতির শঙ্কা। ইতিমধ্য়ে সেই এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ৬৮টি হাতি। যার ভয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখতে ভয় পাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
একই হাল পশ্চিম মেদিনীপুরেও। সেখানকার জঙ্গলমহল-সহ বেশ কিছু এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে বন্যপ্রাণীর দাপট। এদিকে আবার শুরু হয়ে গিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক। এমন পরিস্থিতিতে শেষমেশ ‘জীবনের বড় পরীক্ষায়’ কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো হাতির দাপট?
পরীক্ষার্থীদের মন থেকে আপাতত সেই ভয়ই দূর করতে ময়দানে নেমে পড়েছে বন দফতরের কর্মীরা। পুলিশ ও বন দফতরের যৌথ অভিযানেই চলছে জঙ্গলপথে নজরদারি। কাঁধে বন্দুক নিয়েই জঙ্গলে টহল দিচ্ছে বন দফতর। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে পারেন, তার জন্যই এত ব্যবস্থা।
তবে শুধুই নজরদারি নয়। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছে বনদফতর। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় হাতি ও নানা বন্যপ্রাণীর উপদ্রব রয়েছে। সেই এলাকার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের ইতিমধ্যেই বন দফতরের গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয়ে তাদের নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে।





