Abhishek Banerjee: ‘ছন্নছাড়া’ উত্তরবঙ্গের নেতাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Abhishek Banerjee: বলেছেন, "৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিন। নির্বাচনে এক হয়ে লড়াই করতে নামুন।" সূত্রের খবর, অভিষেক নাকি সরাসরি বলেছেন,"কলকাতায় বিভিন্ন স্তর থেকে রিপোর্ট গিয়েছে, আপনারা নিজেদের মতো করে চলেন। কেউ কারো কথা শোনেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করুন।"

Abhishek Banerjee: 'ছন্নছাড়া' উত্তরবঙ্গের নেতাদের ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2024 | 1:10 PM

আলিপুরদুয়ার: পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও জেলায়-জেলায় গিয়ে নেতা-কর্মীদের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগেও সেই একই ভূমিকায় তিনি। দলের অন্দরে কোনও কোন্দল-সংঘাত মনোমালিন্য রেখে নির্বাচন, কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আলিপুরদুয়ারের দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, “মনোমালিন্য বা দ্বন্দ্ব রাখলে দলের বাইরে চলে যান। দলে থেকে কাজ করতে হবে না। দ্বন্দ্বের কারণে দল হারলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করব না।” এভাবেই উত্তরবঙ্গের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত’ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন দলের নম্বর ‘টু’। একইসঙ্গে বার্তা দিলেন জলপাইগুড়ি তৃণমূল নেতৃত্বকেও। জলপাইগুড়ি নেতৃত্বকে তিনি বললেন, কে কী পেয়েছেন, কে কী পেতে পারতেন, কেন পাননি, এখন এগুলি মূল্যায়ন করার সময় নয়। উত্তরবঙ্গে ভাল রেজাল্ট চাই। এটাই তাঁর শেষ কথা।

সোমবার শিলিগুড়িতে একটি হোটেলে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বন্ধ ঘরে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, তৃণমূল ‘সেনাপতি’ দুই জেলার নেতৃত্বের উদ্দেশেই কড়া বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিন। নির্বাচনে এক হয়ে লড়াই করতে নামুন।” সূত্রের খবর, অভিষেক নাকি সরাসরি বলেছেন,”কলকাতায় বিভিন্ন স্তর থেকে রিপোর্ট গিয়েছে, আপনারা নিজেদের মতো করে চলেন। কেউ কারো কথা শোনেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করুন। বুথে বুথে কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কাজকর্ম গুলির সম্পর্কে মানুষকে জানান। আলিপুরদুয়ারে সাংসদ হিসেবে জন বার্লা কাজ করতে পারেননি বলেই বিজেপি এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি। এই বিষয়টি বারবার করে মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার করুন।” ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তিনি জেলার নেতৃত্বকে এও শিখিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিক, আদিবাসী, সংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কী কী সুবিধা দিচ্ছেন সেগুলি ভালভাবে প্রচার করার। একই সঙ্গে বুথে বুথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন।

বস্তুত, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি পেয়েছিল বিজেপি। একটি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে। তৃণমূলের ভাঁড়ার শূন্য ছিল। সেই ফল যেন কোনও ভাবে এবার পুনরাবৃত্তি না হয়। রীতিমতো সতর্ক করলেন দুই জেলার নেতৃত্বকে।