‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে পৌঁছে ক্ষোভ, তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা!

Duare Sarkar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের সুবিধা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তির-ধনুক নিয়ে সোজা জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা (Adivasi)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে।

'দুয়ারে সরকার' শিবিরে পৌঁছে ক্ষোভ, তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা!
তির -ধনুক হাতে আদিবাসীরা পৌঁছে যান প্রশাসনিক দফতরে। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 8:16 PM

আলিপুরদুয়ার: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের সুবিধা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে তির-ধনুক নিয়ে সোজা জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করলেন আদিবাসীরা (Adivasi)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। কিন্তু কেন এই ঘটনা?

শুক্রবার লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের সুবিধা নিতে স্থানীয় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়েের মানুষ। কিন্তু তাঁদের কাছে জাতির প্রমাণপত্র চাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন আদিবাসীরা। এদিন শিবির থেকে সোজা আলিপুরদুয়ারে এসে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্ত হন তাঁরা। হাতে আবার তাঁদের তির-ধনুক। তাঁরা ওই ভাবেই সোজা চলে আসেন আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাসাসনিক ভবনে।

আদিবাসীদের সংগঠন পদ্মপারা থেকে কর্মীদের নিয়ে এদিন তাঁদের লক্ষীর ভাণ্ডার ফর্ম পূরনে আদিবাসি জাতির প্রমানপত্র চাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্ত হন। সংগঠনের সম্পাদক শিব টোপ্পো অভিযোগ করেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) কর্মসূচিতে জাতি প্রমাণপত্র চাইছে। তাতে ১,০০০ টাকা দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী বসবাস করছেন। রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্র সরকার। কোনও সরকারের এই যোজনা থেকে লাভ পেতে এটা চাওয়া ঠিক নয় বলে দাবি তাঁর। তাঁর কথায়, “আমাদের কাছে জাতি প্রমাণপত্র চাইছে!” এটা নিয়ে এসডিও-র সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে এসেছিলেন। এসডিও-র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে এটা জানাতে হবে। আমরা আদিবাসীই। ওঁরাও, টোপ্পো লিখলেও আমরা আদিবাসী। সরকারের এটা জানা উচিত। আধারকার্ড, ভোট কার্ড রেশন কার্ড সব কিছুতেই প্রমাণ রয়েছে। আমরা আদিবাসী। সরকারের কাছে তো ডেটা রয়েছে। সরকারের কাছে তো আমরা এসটি (ST)। তাই এই যোজনায় আমাদের জাতি প্রমাণপত্র না নেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় টাকার বিনিময় আবেদনপত্র দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সাধারণ মানুষের কাছে টাকার বিনিময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম বিক্রি করা হচ্ছে। তার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্জি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ফর্ম মিলবে। অন্য কারও থেকে ফর্ম নেবেন না।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি না হয় সে প্রসঙ্গে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনভাবেই সেই ফর্ম ফোটোকপি করা যাবে না একথাও জানিয়েছিলেন মমতা। প্রত্য়েক ফর্মে নির্দিষ্টি ইউনিক কোড থাকবে। সেই ইউনিক কোড প্রত্যেক ফর্মের ক্ষেত্রে আলাদা হবে। পাশাপাশি, গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও থাকতে হবে তবেই মিলবে ফর্ম এমনই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য দিতে হয় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের প্রমাণপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্র।

আরও পড়ুন: ‘মেজো বোনকে’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা, পূরণ করছেন শুভেন্দু!