BJP: নিশানায় মমতার ‘পরামর্শ’, পুজোর বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করে ‘আয়ের খোঁজ’ বিজেপি কর্মীদের

BJP:"চা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, বিক্রি তো হবেই, চাহিদাও খুব বাড়বে।” কয়েকদিন আগেই এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল মমতাকে।

BJP: নিশানায় মমতার ‘পরামর্শ’, পুজোর বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করে ‘আয়ের খোঁজ’ বিজেপি কর্মীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 11:54 PM

আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপ্রেরণায়’ পৌরসভার সামনে কিছুদিন আগেই ঝালমুড়ির দোকান দিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির (BJP) কাউন্সিলারদের। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। এবার যেন এই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা বিজেপি সাংগঠনিক ১০ নম্বর মণ্ডলের পক্ষ থেকে শালকুমার বাজারে ঝাল মুড়ি বিক্রি করলেন বিজেপি কর্মীরা। অনেক সাধারণ মানুষ আবার সেই ঝাল মুড়ি কিনেও খেলেন। পুজোর মুখে বিজেপির এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গেল জেলার রাজনৈতিক মহলে। 

“চা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, বিক্রি তো হবেই, চাহিদাও খুব বাড়বে।” কিছুদিন আগে খড়্গপুরের চাকরির নিয়োগপত্র বণ্টন অনুষ্ঠানে এসে এ কথা বলেছিলেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার আলিপুরদুয়ারে এলাকার বিজেপি নেতাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই তাঁদের দলের বেকার ছেলেরা এই কাজ করছেন। স্বনির্ভর হতেই আজ তাঁরা ঝালমুড়ি বেচতে রাস্তায় নেমেছেন। এমনকী কয়েকদিন আগে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সামনে বিজেপি কাউন্সিলররা ঝালমুড়ির দোকান দেওয়া নিয়ে দাবি করেছিলেন “কোটি টাকা আয় করতে চাই। সে কারণেই দিদির পরামর্শ মেনে দোকান দিয়েছি।” সেই একই সুর শোনা গেল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি কর্মীদের গলায়। তবে মমতার পরামর্শের প্রতিবাদে বিজেপির এই লাগাতার শ্লেষাত্মক আক্রমণে শাসকদলের অস্বস্তি বেড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।   

আলিপুরদুয়ার এক বিজেপি নেতা তো বলেই ফেললেন, “এবার আমার স্ত্রী ঘুগনি বিক্রি করবেন। কচুরিপানা থেকে থালা, কাশফুলের বালিশও তৈরি করার প্রয়াস শুরু করেছে এখানকার বেকার ছেলেরা।” যদিও এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার তৃনমূল কংগ্রেস নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “ওরা কী করছে না করছে আমরা ওটা নিয়ে চিন্তাই করি না। যা খুশি করতে পারে। তবে পাবলিক ওদের সঙ্গে নেই। সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছেন।”