‘যেখানে পাব খুন করব’, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজেপি কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। প্রধান হন তিমির দাস। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তিমির-সহ অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দেয়।

‘যেখানে পাব খুন করব’, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের
অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 8:50 PM

আলিপুরদুয়ার: গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বিজেপির দুই নম্বর মণ্ডল সভাপতি ললিত দাসকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তিমির দাসের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেন এলাকায়।  এই হুমকির পর জেলা বিজেপি নেতৃত্বে নির্দেশে কুমারগ্রাম থানায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা ললিত দাস। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজেপি কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। প্রধান হন তিমির দাস। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তিমির-সহ অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দেয়। এবং তিমির দাসই  প্রধান হিসেবে থেকে যান। বিজেপির অভিযোগ ,তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই শাসকদলের প্রশ্রয়ে তিমির দাস গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করে। যা নিয়ে বারবার প্রতিবাদ জানায় বিজেপি নেতা ললিত দাস-সহ বাকিরা। সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত একটি অভিযোগ পত্র তৈরি করে বিজেপি। যা জেলাশাসক ও বিডিও-কে জমা দেওয়ার কথা। সেই খবর কোনও ভাবে জানতে পারেন তিমির দাস। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে কুমারগ্রামের বিজেপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে ব্যাগের মধ্যে একটি ভেজালি নিয়ে গিয়ে ললিত দাসের খোঁজ করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন দুই নম্বর মন্ডলের কোষাধ্যক্ষ প্রেম চাঁদ বর্মন। তিনি তিমিরকে বলেন, ললিত আসেননি অফিসে। অভিযোগ, তখন প্রধান ভোজালি বের করে তাঁকে বলে যান, যেখানেই পাব ললিতকে খুন করবো। আমি এখনই ললিতদের বাড়ি যাচ্ছি। এই কথা শুনে যথেষ্ট ঘাবড়ে যান প্রেমচাঁদ। সঙ্গে সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে কুমারগ্রাম থানায় প্রধান তিমির দাসের নামে অভিযোগ জানান ললিত দাস। এবং তার সুরক্ষার জন্য দেহরক্ষী চেয়ে আবেদনও করেন। যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন প্রধান তিমির দাস।