মায়ের চিকিৎসা করাতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার মেয়ে, অভিযুক্ত হাসপাতালের কর্মী
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অতনু ভট্টাচার্য জানান, ওই যুবতীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে তাঁকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ার: চা বাগানে পাতা তুলতে গিয়ে বাগানের নালায় পরে আহত হন এক মহিলা চা শ্রমিক। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় কামাখ্যাগুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে অসুস্থ ওই মহিলার সঙ্গে শনিবার রাতে থাকতে আসেন তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে। শনিবার রাতে প্রায় ১২টা নাগাদ রোগীর ওষুধ দেওয়ার নাম করে সেখানে আসেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মী। তিনি ওই যুবতীকে মহিলা ওয়ার্ড থেকে ডেকে নিয়ে যান হাসপাতালের এক পুরানো কক্ষে। মেয়েটিকে সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই হাসপাতাল কর্মী তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। রবিবার ওই যুবতী ও তাঁর বাবা এই অভিযোগ করেছেন। ঘটনা নিয়ে কুমারগ্রাম থানার কামাখ্যাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় গ্রামের প্রতিবেশীরাও নির্যাতিতার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের দাবি, অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক। যদিও রবিবার হাসপাতালে ছিলেন না ওই কর্মী। তিনি টেলিফোনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
পাশাপাশি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অতনু ভট্টাচার্য জানান, ওই যুবতীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে তাঁকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি পুলিসি তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে থেকে রোগীর যুবতী মেয়েকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মী। তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।