Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalonunia Rice: গরম ভাতে সামান্য ঘি, কাঁচা লঙ্কা, আর ভাজা… অমৃত ‘কালো নুনিয়া’র জিআই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত কৃষকরা

KaloNunia: কৃষি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর নিখিলকুমার মণ্ডলের কথায়, "কালো নুনিয়ার এই স্বীকৃতি আমাদের জেলার কৃষকভাইদের জন্য খুবই গর্বের। এ জেলার ৬ ব্লকের কম বেশি সর্বত্রই কালো নুনিয়ার চাষ হয়। কালচিনি, মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার-১ ও ২, কুমারগ্রাম, ফালাকাটায় ফলন ভাল।"

Kalonunia Rice: গরম ভাতে সামান্য ঘি, কাঁচা লঙ্কা, আর ভাজা... অমৃত 'কালো নুনিয়া'র জিআই স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত কৃষকরা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 8:45 AM

আলিপুরদুয়ার: কোনও কিছুর জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন বা জিআই স্বীকৃতি সেই এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের। সম্প্রতি এই স্বীকৃতি পেয়েছে উত্তরবঙ্গের ‘প্রিন্স অব রাইস’ কালো নুনিয়া। এ চালের গরম ভাতে এক চামচ ঘি, একটা কাঁচা লঙ্কা আর মুচমুচে আলু-বেগুন ভাজা; মুহূর্তে অমৃতস্বাদের আস্বাদন সারা। এই কালো নুনিয়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় দারুণ খুশি আলিপুরদুয়ারের কৃষকরা। আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রতিটি ব্লকেই কম বেশি কালো নুনিয়া ধানের চাষ হয়। তবে বিশেষ উল্লেখের দাবিদার কালচিনি। কালো নুনিয়া জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় এবার কৃষকদেরও দিন ফিরবে বলেই মনে করছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।

শীতের বাজারের ধান এটি। অগস্টের প্রথমদিকে রোপণ করা হয় ধানচারা। পৌষমাসে ধান কাটা হয়। অর্থাৎ ডিসেম্বর নাগাদ। এ চালের সুগন্ধ এমনই, ভাতের গন্ধ নাকে গেলে মনে হবে ঘ্রাণেই অর্ধেক খাওয়া হয়ে গেল। আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি এলাকার কৃষক জগন্নাথ টোপ্পো, অনিল টোপ্পো বহু বছর ধরে কালো নুনিয়া ধান ফলান। বাজারে কেজি প্রতি ১০০ টাকা কালো নুনিয়া বিক্রি হয়। এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট হাজার টাকা আয় হয় এই ধান ফলিয়ে।

রিকা সরকার নিজের হাতে চাষের কাজ করেন। তিনি বলেন, “আগে প্রচুর এই ধান ফলাতাম। তবে হাতির উৎপাত খুব বেড়েছে। তাই আমরাও ধানের চাষ কমিয়ে দিয়েছি। খরচ করে চারা বসিয়ে, ফসল ফলিয়েও তা আর শেষ অবধি ঘরে তুলে আনতে পারি না। এই ধান মিষ্টি, খুবই সুস্বাদু। একবার যদি কোনও হাতি এসে খেয়ে যায়, ব্যস রোজ আসবে ওই ধানের লোভে। একদম শেষ করে দেয়। খুব কম করে চাষ করি। এবার তো বিঘা খানেক করেছি।”

জগন্নাথ টোপ্পো বলেন, “অন্যান্য ধানের থেকে এই ধানের দাম অনেকটাই বেশি। খেতে সুস্বাদু। এবার আমি ১০ মণ ফলিয়েছি। আসলে দাম বেশি তো। বিক্রিতেই কিছুটা চাপ হয়। তবে জিআই স্বীকৃতি পেল কালো নুনিয়া। হয়ত এই স্বীকৃতির হাত ধরেই দিন ফিরবে।” কৃষি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর নিখিলকুমার মণ্ডলের কথায়, “কালো নুনিয়ার এই স্বীকৃতি আমাদের জেলার কৃষকভাইদের জন্য খুবই গর্বের। এ জেলার ৬ ব্লকের কম বেশি সর্বত্রই কালো নুনিয়ার চাষ হয়। কালচিনি, মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার-১ ও ২, কুমারগ্রাম, ফালাকাটায় ফলন ভাল। আমরা চেষ্টা করছি সামনে মরসুমে কৃষিবিকাশ যোজনায় কালো নুনিয়া ধানকে আরও বেশি করে প্রচার করব।”