Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

New Town: নিউটাউনে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ, ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছে বন দফতর

New Town: খবর গিয়েছে বন দফতরের কাছে। খবর পাওয়ার পর বন দফতরের লোকজন এদিন এলাকায় আসেন। তবে বাঘের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। আসেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার লোকজনও।

New Town: নিউটাউনে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ, ক্যামেরা নিয়ে ঘুরছে বন দফতর
আতঙ্ক গোটা এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2024 | 6:56 PM

আলিপুরদুয়ার: রাত হলেই কিসের যেন গর্জন শোনা যাচ্ছে। পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছেন এলাকার লোজন। ছবিও নাকি উঠেছে কারও কারও ফোনে। অনেকেই বলছেন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আস্ত একটা চিতাবাঘ। তীব্র আতঙ্ক আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) নিউটাউন দূর্গাবাড়ি এলাকায়। খবর গিয়েছে বন দফতরের কাছে। খবর পাওয়ার পর বন দফতরের লোকজন এদিন এলাকায় আসেন। তবে বাঘের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। আসেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার লোকজনও। তবে এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বন দফতরের কর্মীরা। যদি কোনও জন্তু আনাগোনা হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বক্ষণের নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে ক্যামারা। একইসঙ্গে খাঁচাও পাতা হয়েছে।

বক্সা টাইগার রিজার্ভের রেঞ্জার প্রদীপ কান্তি সরকার বলছেন, “৫-৬ দিন ধরেই এলাকার লোকজন একটা কিছু দেখতে পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন। ভয়ও রয়েছে সকলের মধ্যে। কেউ বলছে হায়না, কেউ বলছে চিতাবাঘ। আসলে কী সেটা বোঝার জন্য ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ধরার জন্য খাঁচাও বানানো হয়েছে। এ ছড়াও দিনরাত আমাদের কর্মীরা টহল দিচ্ছে। নজরদারি চলছে। যদিও কিছু থাকে আশা করছি ধরা পড়ে যাবে। তবে আমাদের মনে হচ্ছে বড় সাইজের কোনও ভাম ঘুরছে, চিতাবাঘ নয়।” 

এলাকার লোকজনকে অভয় দিচ্ছেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার চেয়ারম্য়ান প্রসেনজিৎ কর। তিনি বলেন, “কিছুদিন ধরে এলাকায় একটা পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। সেটা দেখে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই আমরা বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বন দফতর আজ এখানে একটা খাঁচা পাতছে। যদি কোনও জন্তু থাকে সেটা ধরার চেষ্টা করছি। আমরা নিজেরাও সবটার উপর নজর রাখছি। আসলে কী জন্তু সে বিষয়ে আমরা ঠিক জানি না। ধরা দিলেই সবটা বোঝা যাবে। আলিপুরদুয়ার পৌরসভা মানুষের পাশে আছে।” 

এদিকে বর্তমানে বাঘের খবর চাউর হতেই কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে স্কুল। বন্ধ হতে বসেছে বাজার-ঘাট। এলাকার পড়ুয়া দেবজিত দাস বলছে, “দিদিমণি তো পড়াতে আসছে না। রোজই বাঘ বের হচ্ছে। সেই ভয়েই কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। রোজ রাতেই বাঘের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।” প্রসঙ্গত,  ২০১৫ সালে শহরের শিশু উদ্যানে খাঁচাবন্দি হয়েছিল একটি পূর্নবয়স্ক চিতাবাঘ। এবার কী ফের ফিরতে চলেছে একই ছবি? ঘোরাফেরা করছে প্রশ্নটা।