Alipurduar TMC : পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দু’মাসের ছুটিতে যাচ্ছেন প্রধান, বিদ্রোহ ঠেকাতেই কি এই সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন

TMC in Alipurduar: উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগেই বনচুকামারী গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান গুলশন মণ্ডলের নেতৃত্বে দলের ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ১২ জন সদস্যই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন।

Alipurduar TMC : পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দু'মাসের ছুটিতে যাচ্ছেন প্রধান, বিদ্রোহ ঠেকাতেই কি এই সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন
কেন হঠাৎ ছুটিতে যাচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 1:47 PM

আলিপুরদুয়ার : দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল পরিচালিত বনচুকামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে দুই মাসের ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। আর এই নিয়েই শাসক শিবিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শাসক দলের ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে ছুটিতে যাওয়ার আগে দলের উপপ্রধানকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। সেই মতো আগামী ১০ জুলাই শাসক দলের প্রধান পায়েল সাহা উপপ্রধান গুলশন মণ্ডলকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে ছুটিতে যাবেন। এটা পঞ্চায়েত ভোটের মুখে আলিপুরদুয়ারে নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগেই বনচুকামারী গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান গুলশন মণ্ডলের নেতৃত্বে দলের ১৪ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ১২ জন সদস্যই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ ছিল, প্রধান সময় মতো অফিসে যান না। সব কাজ একা একাই করে। শুধু তাই নয়, বাকি পঞ্চায়েত সদস্যদের মতামতও নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা।

তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা পরবর্তীতে অনাস্থা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু দলেরই ক্ষুদ্ধ পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় স্তরে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বিষয়টির তদন্ত করে জেলা সভাপতিকে রিপোর্ট জমা দেয়। তারপরই বনচুকামারী পঞ্চায়েত প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো নিয়ে ইতিমধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানকে ছুটিতে পাঠানো না হলে, দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠতে পারত বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। সেই কারণেই প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “মেডিক্যাল লিভের জন্য দলের কাছে প্রধান আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মতো তিনি দুই মাস ছুটি নিচ্ছেন। দায়িত্বভার উপপ্রধান সামলাবেন।” এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পায়েল সাহাও একই কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি দুই মাস ছুটি নিচ্ছি।” দলের চাপের মুখে নতি স্বীকার কি না এ প্রশ্নে তিনি সাফ জানিয়েছেন, পরে এই বিষয়ে কথা বলবেন। পঞ্চায়েত প্রধানের এই বক্তব্যের জেরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ‘বিদ্রোহ’ ঠেকাতেই কি জেলা নেতৃত্ব প্রধানকে দুই মাসের ছুটিতে পাঠাচ্ছেন? প্রধান দুই মাস ছুটি কাটানোর পর ফের কি প্রধানের চেয়ারে বসতে পারবেন? তা নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এই নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক জানিয়েছেন, “উপ-প্রধানকে তো দল প্রধান করতে পারে না। বিষয়টি অসাংবিধানিক। কারণ, প্রধান হতে গেলে তাঁকে আবার আস্থা ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে হবে। ছুটি কেউ নিতেই পারেন। প্রধানের দায়িত্ব তিনি সামলাতে পারেন। তিনি উপপ্রধান হিসেবেই থাকবেন, প্রধান হিসেবে নয়।”