Alipurduar: সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ, ED-CBI দায়িত্ব পেতেই শুরু রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি
Alipurduar: এই সমবায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০০০ সাল থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের এই মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির। সমবায় সমিতিতে কম করে প্রায় ২২ হাজার আমানতকারী রয়েছেন। তবে ২০২০ সালে সমবায় সমিতি বন্ধ হয়ে যায়।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের এক মহিলা পরিচালিত সমবায় ঋণদান সমিতিতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। গতকালই সেই অভিযোগে সিবিআই ও ইডিকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এই সমবায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০০০ সাল থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের এই মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির। সমবায় সমিতিতে কম করে প্রায় ২২ হাজার আমানতকারী রয়েছেন। তবে ২০২০ সালে সমবায় সমিতি বন্ধ হয়ে যায়। আর বন্ধ হওয়ার ঠিক আগের কয়েক বছরে ২০১৮-১৯ সালে এই সমবায় ঋণদান সমিতিতে চূড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনেক আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকার অঙ্কটা সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বলে অভিযোগ।
ঘটনায় আগেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। পরে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। ধরপাকড়ও হয়েছিল। সমবায়ের সেই সময়ের যাঁরা দায়িত্ব ছিলেন, এমন পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু টাকা কেউই ফেরত পাননি এখনও। সেই আক্ষেপের সুর আজও ফুটে উঠল আমানতকারীদের গলায়। আলিপুরদুয়ারের সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে এলাকার সমাজকর্মী রাতুল বিশ্বাস বলছেন,’সিআইডি এতদিন ধরে টালবাহানা করেছে। গত তিন বছরে সিআইডি বিভিন্নভাবে টালবাহানা করেছে। দোষীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা গিয়েছে।’
আমানতকারীদের আইনজীবী নীলাদ্রিশেখর সেনও একই অভিযোগ তুলছেন। বলছেন, ‘তদন্ত ঠিকভাবে হচ্ছে না। সেই কারণে সিবিআই ও ইডির দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় সিবিআই ও ইডি দুই সংস্থার তদন্তের নির্দেশই দিয়েছেন।’ আলিপুরদুয়ারের সমবায়ে এই দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতর। বিজেপির জেলা মুখপাত্র শঙ্কর সিনহা যেমন বলছেন, ‘এই অভিযোগ একদিনের নয়। সিপিএম আমলেই এর বীজ বপণ হয়েছিল। আর তাদের দেখানো পথেই আজ তৃণমূল চলছে।’
অন্যদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক কিশোর দাসের বক্তব্য, যখন কোনও বোর্ড ছিল না, তখনই এই চক্র গজিয়ে উঠেছিল। তিনি বলছেন, সিবিআই ও ইডি দিয়ে তদন্ত হলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, সিআইডির উপর তাঁদের আস্থার কথা। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলছেন, ‘সিপিএম অতীতে প্রচুর চিটফান্ড তৈরি করেছে। সিআইডির উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। অতীতে সারদা, নারদায় দেখা গিয়েছে সদর্থক কিছু করে উঠতে পারেনি ইডি-সিবিআই। বহু বছর ধরে তদন্ত চালাচ্ছে।’