Alipurduar : ওটা কী? পিকনিক করতে গিয়ে নদীতে চোখ যেতেই চক্ষু চড়কগাছ
মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তি পর্যটক নাকি পিকনিক করতে এসে মারা গিয়েছেন তা জানতে চলছে তদন্ত।
আলিপুরদুয়ার : বছরভর পিকনিকের (Picnic) উদ্দেশে ভিড় জমান বহু মানুষ। এবার নতুন বছরের শুরু থেকে সেই চেনা ছবি দেখা যাচ্ছিল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) চিলাপাতার পিকনিক স্পটে। কিন্তু এই স্পটে মৃতদেহ উদ্ধার হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। যদিও মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্পটের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের দাবি দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষই এখানে আসেন। সকলে পিকনিক করতে আসেন এমনটা নয়। রাতেও চলে গাড়ি। তাই কখন কী করে এ ঘটনা ঘটেছে তা তাঁদের জানা নেই। এদিন দুপুরে এলাকার লোকজন চিলাপাতার একটি পিকনিক স্পট সংলগ্ন বানিয়া ব্রিজের পাশে চিলাপাতা জঙ্গল লাগোয়া বানিয়া নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। খানিক পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তি পর্যটক নাকি পিকনিক করতে এসে মারা গিয়েছেন তা জানতে চলছে তদন্ত। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পিকনিক স্পটের দায়িত্বে থাকা রবি রাভা বলেন, “পিকনিক করে এসে যে মারা গিয়েছে এটা আমরা এখনই বলতে পারব না। কারণ সারা রাত এখানে গাড়ি চলে। ঘটনা কখন ঘটেছে আমাদের জানা নেই। পিকনিক করতে এসে হয়েছে কি না এটা তদন্তের পর জানা যাবে।”
ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা দেবেন্দ্র রাভা বলেন, “আমি স্কুলে ছিলাম। দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনার কথা জানতে পারি। শুনি বানিয়া ব্রিজের উত্তরে একদম জঙ্গলের ভিতরে একটা লাশ পড়ে আছে। তারপর ওখান থেকে আসি ঘটনাস্থলে। কী করে এসব হল বুঝতে পারছি না। এখানে সারা রাত গাড়ি চলে। কে আসে কে যায় সব তো আমাদের জানা থাকে না। পিকনক স্পটের পাশে এটা হলেও এর সঙ্গে ওই ঘটনার সম্পর্ক নেই। কারণ যে পিকনিক স্পট আমরা চালাই সেটা তো সাড়ে চারেটের সময়েই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এটা পিকনিক স্পটের বাইরে হয়েছে।”