Alipurduar: কাঠ মাফিয়াদের দাপটে কাটা পড়ছে গাছ! ঘন জঙ্গল যেন ফুটবল মাঠ, কাঠগড়ায় বনকর্মীরাও
Alipurduar: অভিযোগ, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের বারবিশা বিট অফিসে দিনে দুপুরে বসে মদের আসর। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে মদের বোতল।
আলিপুরদুয়ার: রক্ষকই যখন ভক্ষক, তখন সমাজবিরোধী কাজ আটকাবে কে? ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে উত্তরের জঙ্গল। অভিযোগ, কাঠমাফিয়াদের দাপটেই ধীরে ধীরে শ্মশানের শূন্যতা নেমে আসছে বনভূমি জুড়ে। জঙ্গল (Forest) কার্যত ফুটবল ময়দানে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ, কাঠ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে বন কর্মীদের একাংশের। সংকোশ নদীপথে কিংবা সাইকেল ভ্যান কিংবা মারুতি গাড়িতে পাচার হচ্ছে কাঠ। দেখার কেউ নেই।
অভিযোগ, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভলকা রেঞ্জের বারবিশা বিট অফিসে দিনে দুপুরে বসে মদের আসর। এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে মদের বোতল। কর্মীদের বিরুদ্ধে দিনেদুপুরে মদের আসরে হাজির থাকার অভিযোগ উঠেছে। একজন বিট অফিসার রয়েছেন। বাকিরা কেউ নেই। অফিসে মদের আসর নিয়ে বিট অফিসার বিজয় সার্কিকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “বাইরের লোকজন এসে এখানে খান।” কিন্তু বিট অফিসে বাইরের লোকজন এসে মদের আসরে বসাবেন কী করে? বাইরের লোকজনই বা কারা? এ প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। এদিকে ওই এলাকায় কাঠপাচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান নিয়মিত পাচার হচ্ছে। বলার কিছু নেই। এই পাচার চক্রের সঙ্গে বনদফতরের কর্মীরাও জড়িত বলে অভিযোগ এনেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে শাসক দলের আলিপুরদুয়ারের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, “ এ ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট আছে, আইন আছে, প্রশাসন আছে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এজন্য আপনি বললে হবে না। স্পেসিফাই করতে হবে। আপনি স্পেসিফাই করুন। প্রচুর লোক ধরা পড়ছে। ফরেস্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে। আপনার কাছে শুনলাম। ফরেস্ট অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। তবে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাও সাফ জানিয়েছেন “সংকোশ নদী পথে কাঠ পাচার চলছে। কয়েকজনকে ডিউটিতে রাখলে, সিসিটিভি লাগালে সব বেরিয়ে যাবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এ বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে কর্মীর অভাব দেখানো হয়। শুধু অজুহাত দেখানো হয়। ”