ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি? ক্ষোভে ফুঁসছেন ২০ হাজার বাসিন্দা
"এসজেডি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন ৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছিলাম। কিন্তু সেতু তৈরি করতে সেই টাকায় হবে না। তাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর আশা দিলেও সেতু তৈরি হয়নি।''
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে ডিমা নদীর উপর ভাঙাচোরা একখানা বাঁশের সেতু। আলিপুরদুয়ার শহরের সঙ্গে শহরতলীর এলাকার যোগাযোগের ভরসা এই নড়বড়ে বিপজ্জনক সাঁকো। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও একখানা পাকার সেতু তৈরি হয়নি। ভোট পেরিয়েছে। সামনে বর্ষার মরসুম। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার ২০ হাজার বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর দাবি, ডিমা নদীর উপর পাকা সেতু না হওয়ায় বর্ষাকালে বনচুকামারীর বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। আবার একটা ভোট পেরলো। এবার কি একটা পাকা সেতু পাব? প্রশ্ন তাঁদের।
এদিকে আলিপুরদুয়ারের সবক’টি আসন জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী এ নিয়ে বল ঠেলে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কোর্টে। তাঁর কথায়, ‘এসজেডি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন ৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছিলাম। কিন্তু সেতু তৈরি করতে সেই টাকায় হবে না। তাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর আশা দিলেও সেতু তৈরি হয়নি।’
এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট পেরিয়ে গেলে আর হয় না। রোগী নিয়েও তাই অতিরিক্ত ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। তাঁদের কথায়, ‘বিধায়ক বলেছেন দু’মাসের মধ্যে হবে। কিন্তু হচ্ছে আর কই?’ এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ২০ বছর দেখলাম। নির্বাচনের সময় এলে তখন আসেন প্রার্থীরা। ভোট মিটে গেলে দায়িত্বও যেন শেষ।’
সেই বাম আমল থেকেই এলাকাবাসী শুনে আসছেন পাকা সেতু হবে। ভোট আসে, ভোট পেরোয়। সেই প্রতিশ্রুতি মনে করতে করতেই বর্ষায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলে পারাপার।