MP John Barla: মন্ত্রী হয়েছেন জন বার্লা, ‘বন্ধ হল’ সাংসদ অফিস, জোর বিতর্ক আলিপুরদুয়ারে
Alipurduar: সূত্রের খবর, ঘর ভাড়া নিয়ে এই কার্যালয় খুলেছিলেন সাংসদ। কিন্তু গত মাসে বাড়ির ভাড়া মিটিয়ে সেই ঘর ছেড়ে দিয়েছেন সাংসদ জন বার্লা।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে আলাদা কার্যালয় ছিল বিজেপি সাংসদের। এখন তিনি আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্ত্রী হওয়ার পরই আলিপুরদুয়ার চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় যে সাংসদ কার্যালয়টি ছিল তাতে তালা ঝুলে গিয়েছে। ফলে কোনও শংসাপত্র বা অন্য প্রয়োজনে আর সাংসদ কার্যালয়ে যেতে পারছেন না এলাকার লোকজন। সূত্রের খবর, ঘর ভাড়া নিয়ে এই কার্যালয় খুলেছিলেন সাংসদ। কিন্তু গত মাসে বাড়ির ভাড়া মিটিয়ে সেই ঘর ছেড়ে দিয়েছেন সাংসদ জন বার্লা। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপিরই একাংশ ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের দাবি। তৃণমূলও এক হাত নিয়েছে। যদিও এ নিয়ে জন বার্লার সঙ্গে টিভি নাইন বাংলা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদকের যুক্তি, “ভাড়াবাড়ি থেকে সাংসদের কার্যালয় উঠে গিয়েছে। এখন থেকে উনি জেলা পার্টি অফিসে বসেই নাগরিক পরিষেবা দেবেন।” ভূষণের ব্যাখ্যা, এখন আর জন বার্লা শুধু সাংসদ নন, কেন্দ্রের মন্ত্রীও। বিভিন্ন রাজ্যে ছুটে বেড়াতে হয় তাঁকে। তাই শুধু শুধু বাড়ি ভাড়ার পিছনে টাকা খরচ না করে সেই টাকা পার্টি ফান্ডে দিলে আরও বেশি কাজ করা যাবে। তাই জেলা অফিস থেকে এখন সমস্ত কাজ হবে।
যদিও তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীর কথায়, “আমরা প্রতিটি মিটিংয়ে এটাই বলি। উনি সাংসদ হওয়ার পর থেকে কোনওদিনই পাইনি। সাংসদের দেখা নাই রে, সাংসদের দেখা নাই। এখন আবার উনি মন্ত্রী হয়েছেন, তাই সাংসদের অফিসটাও উঠে গিয়েছে। এলাকার মানুষের জন্য বিজেপি কোনওদিনই কিছু করেনি। তৃণমূল সবসময় পাশে থেকেছে। মানুষ সব বুঝতে পারছে। তাঁরা এর বিচারও করবেন।” অবশ্য মৃদুল গোস্বামীর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভূষণ মোদক বলেন, “শাসকদলের কোনও ইস্যু নেই। চাকরির পরীক্ষায় না বসেই চাকরি। মানে দুর্নীতিতে ঠাসা। রাজ্যে ধর্ষণ, গরু, কয়লা পাচারের মতো মামলা। আজ একে সিবিআই ডাকছে, কাল তাকে ইডি ডাকছে। এসব থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য শাসকদল এসব কথা বলছে।”