‘যাদের হাতে ক্ষমতা, তাঁরাই চাইছে না দলটা থাকুক’, বিক্ষুব্ধদের তালিকায় আরেক তৃণমূল সাংসদ

বেসুরোদের তালিকায় নাম লেখালেন পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডল (Sunil Kumar Mondal)। তবে সরাসরি দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন না তুলে তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন শুভেন্দু বা জিতেন্দ্র তিওয়ারির মতো নেতারা বিরুদ্ধাচরণ করছেন।

'যাদের হাতে ক্ষমতা, তাঁরাই চাইছে না দলটা থাকুক', বিক্ষুব্ধদের তালিকায় আরেক তৃণমূল সাংসদ
বিক্ষুব্ধদের তালিকায় আরেক তৃণমূল সাংসদ
Follow Us:
| Updated on: Dec 16, 2020 | 5:48 PM

পূর্ব বর্ধমান: দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা। এবার বেসুরোদের তালিকায় নাম লেখালেন পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডল (Sunil Kumar Mondal)। তবে সরাসরি দলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন না তুলে তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন শুভেন্দু বা জিতেন্দ্র তিওয়ারির মতো নেতারা বিরুদ্ধাচরণ করছেন। পাশাপাশি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা সম্পর্কেও সওয়াল তুলে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূলের সাংসদ।

সুনীলবাবু এদিন বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, তাঁরা নিজেরাই আর চাইছে না দলটা থাকুক। যারা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত, দল তাদেরকেই তুলে নিয়ে আসছে।‘ এমন অভিযোগও শোনা যায় তাঁর গলায়। প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘সুব্রতবাবু, শুভেন্দু, পার্থবাবুর মতো নেতাদের পিকের কর্মচারীর কথায় মিটিং করতে হচ্ছে। এটা শোভা পায় না। ভিতরে ভিতরে এটা কেউই মানতে পারছে না। আমার ব্যক্তিগত মতামত, দলের এই জায়গাটা পরিবর্তন হলে ভাল হয়।‘

আরও পড়ুন: গৃহীত হল না শুভেন্দুর সশরীরে দেওয়া ইস্তফাপত্র, কারণ ব্যাখ্যা করলেন স্পিকার

অন্যদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই বর্ধমানে সুনীলবাবুর পোস্টার দেখা যায়। যেখানে লেখা ছিল, ‘সুনীলদা আমরা শুভেন্দুদার সঙ্গে তোমাকেও চাই।‘ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ছবি দিয়ে এদিন কাঁকসায় পোস্টার পড়ে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কে বা কারা এই ব্যানার লাগিয়েছে জানেন না তিনি। দলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বলে জানান বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ।

তবে প্রশান্ত কিশোরের উদ্দেশে তাঁর সরাসরি তোপ, ‘ও বাংলার রাজনীতির কী বোঝে। বাইরে থেকে এনে যদি কাউকে বলা হয় তারা করবে, সেটা তো হতে পারে না। মানুষের ক্ষোভ তো ওখানেই। এভাবে দল চলে না। চলতে পারে না। শেষে খেদের সুরে সুনীলবাবুকে বলতে শোনা যায়, আমি তো ভাবছি রাজনীতিটাই ছেড়ে দেব। রাজনীতিটাই আর করব না।‘

আরও পড়ুন:  সুব্রত, কেষ্টকেও ফোন করল বিজেপি! তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন মমতাই