Diarrhea: কারও বমি, কারও পেটে ব্যথা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক

Diarrhea: গত সপ্তাহে বুধবার থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত জলবন্দি হয়ে পড়ে। দুর্গাপুর ব্যারেজে থাকা জলে দামোদর নদ তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দেয় বন্যার আশঙ্কা। চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় জেলার জলছবির অনেকটাই উন্নতি হয়।

Diarrhea: কারও বমি, কারও পেটে ব্যথা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক
বাঁকুড়ায় ভর্তি হচ্ছে একের পর এক..Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2024 | 1:20 PM

বাঁকুড়া: লাগাতার নিম্নচাপের জের। এবার আতঙ্ক ছাড়াল ডায়ারিয়ার। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রাজারপুকুর বাউরিপাড়া এলাকায় আক্রান্ত হলেন প্রায় ৫০ জন। ঘটনার খবর পেতেই ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর। ডায়ারিয়ার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই জলের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

গত সপ্তাহে বুধবার থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত জলবন্দি হয়ে পড়ে। দুর্গাপুর ব্যারেজে থাকা জলে দামোদর নদ তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দেয় বন্যার আশঙ্কা। চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় জেলার জলছবির অনেকটাই উন্নতি হয়। তবে সেই চিত্র বদলাতেই এবার চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডায়ারিয়া।

বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রাজারপুকুর বাউরিপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই একটু একটু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের প্রথমে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। স্থানীয় ভাবে জামা গিয়েছে, বমি, পায়খানা ও পেটে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জন ছাড়িয়েছে। ডায়ারিয়া ছড়িয়ে পড়তেই স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো ও এলাকায় পানীয় জল শোধনের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি এলাকা থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই আছে। কিন্তু যেভাবে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আতঙ্কিত গোটা গ্রামের মানুষ। স্বাস্থ্য কর্মী দিপালী ভুঁই বলেন, “কালকে ৪০ জনের একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে ভর্তি হয়েছিলেন সাতজন। একে একে অনেকেরই পেট ব্যথা, পায়খানা হয়েছে। জল থেকেই হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”