Bakura School Agitation: ‘উচ্ছন্নে পড়াশোনা’, দু’মাস স্কুলমুখোই হননি হেডমাস্টার!
Agitation in School: হেড মাস্টার স্কুলে না আসায় পঠন-পাঠন ও স্কুলের অন্যান্য় কাজকর্ম প্রায় শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মঙ্গলবার স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা।
বাঁকুড়া: প্রায় দু’মাস হয়ে গেল হেড মাস্টারের দেখা নেই! স্কুল খোলা, পড়ুয়ারা আসে, অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও আসেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মশাইয়ের কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দেখা মেলে না স্কুলে। এটাই প্রায় মাস দুয়েক ধরে যেন রোজকার চিত্র হয়ে উঠেছে বাঁকুড়া ১ ব্লকের কেঞ্জাকুড়া হাই এটাচড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিকে স্কুলের হাজিরা খাতায় নাকি কোনও এক জাদুবলে সই হয়ে যায় প্রধান শিক্ষক বিপ্লব মণ্ডলের। হেড মাস্টার স্কুলে না আসায় পঠন-পাঠন ও স্কুলের অন্যান্য় কাজকর্ম প্রায় শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় মঙ্গলবার স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে তালাবন্দি করে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা।
বাঁকুড়া-১ ব্লকের অন্যতম বড় প্রাথমিক বিদ্যালয় হল এই স্কুল। পাঁচটি ক্লাস মিলিয়ে মোট ১৮৩ জন পড়ুয়া রয়েছে এখানে। শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৬ জন। প্রধান শিক্ষক দিনের পর দিন স্কুলে না আসায় ক্ষোভ জমেছে অভিভাবকদের মনে। তারকনাথ কর্মকার নামে এক অভিভাবক একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন, “মিড ডে মিলে ঠিকঠাক খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। যেদিন যে খাবার পাওয়ার কথা, সেটা মিলছে না। মিড ডে মিলও বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে। পড়াশোনা উচ্ছন্নে চলে গিয়েছে।” আর এসবের জন্য হেড মাস্টারের স্কুলে না আসাকেই দায়ী করছেন তিনি। বলছেন, “প্রায় আড়াই মাস স্কুলে আসেননি হেড মাস্টার। স্কুলে আসছেন না, এদিকে হাজিরা খাতায় সই হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য শিক্ষকরাও বলতে পারছেন না, তিনি কবে আসবেন।”
স্কুলের পরিস্থিতি যে খুব একটা ভাল নয়, সেকথা মানছেন স্কুলের অন্যতম সহ শিক্ষক সুদীপ মহাপাত্রও। আজ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তালাবন্দি হয়ে পড়েন সুদীপবাবুও। সরাসরি হেড মাস্টারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে সমস্যার কথা গোপন করেননি তিনি। বলছেন, “হেড মাস্টার ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুলে আসেননি। সমস্যার বহিঃপ্রকাশ আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বাইরে। তিনি কেন আসেননি কোনও সদুত্তর আমাদের কাছে নেই। কেন হাজিরা খাতায় সেই হয়ে যাচ্ছে, সেই কারণ আমরাও বলতে পারব না। পঠনপাঠনও ব্যাহত হচ্ছে, প্রশাসনিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে।”