Bankura: ইচ্ছামতো স্কুলে আসেন যান শিক্ষক, চুরি যাচ্ছে চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ! ধুঁকছে বাঁকুড়ার সিঁহিকা সাঁওতাল স্কুল

Bankura: স্কুলে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকের এই গাফিলাতির কথা কার্যত অস্বীকার করেছেন শিক্ষক। তাঁর দাবি, শরীর অসুস্থ থাকাতেই সমস্যা হয়েছিল। অন্য সময় তেমনটা হয় না। স্কুলের পঠন পাঠনের বেহাল অবস্থার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় স্কুল পরিদর্শকও।

Bankura: ইচ্ছামতো স্কুলে আসেন যান শিক্ষক, চুরি যাচ্ছে চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ! ধুঁকছে বাঁকুড়ার সিঁহিকা সাঁওতাল স্কুল
বাঁকুড়ার সেই স্কুলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 31, 2023 | 3:13 PM

বাঁকুড়া: স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে গত কয়েক বছরে। তবে এখনও স্কুলে বেশ কয়েক ছাত্র রয়েছে। শিক্ষক একজন। তিনি মাঝেমধ্যে আসেন, মাঝেমধ্যে আসেন না। অভিভাবকদেরই অভিযোগ, শিক্ষক ইচ্ছেমতো স্কুলে যাওয়া আসা করেন। আর এসবের ফাঁকে চুরি যাচ্ছে স্কুলের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ। এমনকি লুঠ হয়েছে পানীয় জলের পাম্পও। ধুঁকছে বাঁকুড়ার সিঁহিকা সাঁওতাল জুনিয়ার হাইস্কুল।

বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের সিঁহিকা গ্রামে কমবেশি ১২০০ মানুষের বসবাস। গ্রামে রমরমিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় চললেও ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ারা পঞ্চম শ্রেণিতে উঠলেই তাদের ছুটতে হত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের ঝাঁটিপাহাড়িতে। গ্রামের পড়ুয়াদের কথা ভেবে ২০১৪ সালে গ্রামেই প্রতিষ্ঠা করা হয় সিঁহিকা সাঁওতাল জুনিয়ার হাইস্কুল। গ্রামের পঞ্চাশ থেকে ষাট জন পড়ুয়া ভর্তিও হয় স্কুলে। কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক কোনওদিনই নিয়োগ না হওয়ায় স্কুল চলতে থাকে অতিথি শিক্ষকদের ভরসায়।

প্রথমে দু’জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করে। তাঁরা অবসর নিলে আরও একজন অতিথি শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনিও অবসর নিলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ডেপুটেশনে জুনিয়ার হাইস্কুলে পাঠানো হয়। একমাত্র সেই শিক্ষক এখন ইচ্ছেমতো স্কুলে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাঝেমধ্যেই কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি স্কলে অনুপস্থিত থাকেন। যেদিন স্কুলে যান সেদিনও ঘণ্টা খানেক স্কুলে থেকে বাড়ি ফিরে যান। ফলে গত কয়েকবছর ধরে লাটে উঠেছে স্কুলের পঠন পাঠন।

স্কুলের পড়াশোনার এই হালে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমতে কমতে এখন মাত্র পঁচিশে ঠেকেছে। অবহেলায় চুরি গিয়েছে স্কুলের চেয়ার টেবিল বেঞ্চ এমনকি পড়ুয়াদের পানীয় জলের পাম্পও। স্কুলের পঠন পাঠনের এই বেহাল অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

স্কুলে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকের এই গাফিলাতির কথা কার্যত অস্বীকার করেছেন শিক্ষক। তাঁর দাবি, শরীর অসুস্থ থাকাতেই সমস্যা হয়েছিল। অন্য সময় তেমনটা হয় না। স্কুলের পঠন পাঠনের বেহাল অবস্থার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় স্কুল পরিদর্শকও। গোটা ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাকেই দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা তো রাজ্যে ঘটছেই। স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। আদিবাসীদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এতটুকুও ভাবিত নয় রাজ্য সরকার। জঙ্গলমহলে ড্রপ আউটের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।” এস আই সুদীপ জানা বলেন, “শিক্ষককে আমরা সতর্ক করেছি। তিনি আগে থেকে মা জানিয়ে যাতে স্কুল কামাই না করেন। তাহলে স্কুল বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। শিক্ষকের ঘাটতি মেটানোর ব্যাপার কথা হচ্ছে।”