Bankura: শুধু চন্দননগর নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন একবার ঘুরে আসতেই পারেন সারদা মায়ের জন্মভিটে থেকে
Bankura:কথিত আছে, সারদা দেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণা মহিলা। পরিবারের প্রবল অর্থ কষ্টের মধ্যেও প্রতিদিন তিনি এক মুঠো করে চাল তুলে রাখতেন গ্রামের কালী পুজোর জন্য। পুজোর আগে গ্রামের অন্যান্যদের মতোই সেই চাল দিয়ে আসতেন গ্রামের কালী মন্দিরে।
বাঁকুড়া: সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিতে অন্যান্য বছরের মতোই ভক্তি শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। মা সারদার মা শ্যামাসুন্দরী দেবীর হাতে প্রায় দেড়শো বছর আগে শুরু হওয়া এই পুজো এখনও হয়ে আসছে একই ভাবে। ইতিমধ্যেই জন্মস্থানে আগত ভক্তের সংখ্য়া প্রচুর বেড়েছে।
কথিত আছে, সারদা দেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণা মহিলা। পরিবারের প্রবল অর্থ কষ্টের মধ্যেও প্রতিদিন তিনি এক মুঠো করে চাল তুলে রাখতেন গ্রামের কালী পুজোর জন্য। পুজোর আগে গ্রামের অন্যান্যদের মতোই সেই চাল দিয়ে আসতেন গ্রামের কালী মন্দিরে।
কথায় বলে, ১৮৭৭ সালে শ্যামাসুন্দরী দেবী সারা বছর ধরে কষ্ট করে জমিয়ে রাখা চাল দেবী মন্দিরে দিতে গেলে গ্রামের পুজো উদ্যোক্তারা কোনও কারণে তা নিতে অস্বীকার করেন। এতে প্রবল মনকষ্ট নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন শ্যামাসুন্দরী দেবী। জনশ্রুতি ওই রাতেই শ্যামাসুন্দরী দেবী স্বপ্নে দেখেন লাল পাড় সাদা শাড়ির এক মহিলা তাঁকে বলছেন ওই চাল দিয়ে তাঁর পুজো দিতে।
শ্যামাসুন্দরী দেবী লাল পাড় সাদা শাড়ির ওই মহিলাকে চিনতে পারেননি। মা সারদাকে প্রশ্ন করলে মা সারদা জানান, ওই মহিলা আসলে মা জগদ্ধাত্রী। এরপরই নিজের বাড়িতে ক্ষুদ্র সামর্থে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেন শ্যামাসুন্দরী দেবী। আগাগোড়া এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন মা সারদা। পরবর্তীতে মা সারদা মা এর শুরু করা জগদ্ধাত্রী পুজো চালিয়ে যেতে থাকেন। জীবনের শেষ বছর পর্যন্ত এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িয়েছিলেন মা সারদা।
পরবর্তীতে মা সারদার পবিত্র জন্মস্থানে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠা হলে জগদ্ধাত্রী পুজোর যাবতীয় আয়োজন করতে শুরু করেন মাতৃমন্দির কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল থেকে মাতৃ মন্দিরের মহারাজ ও সন্যাসীরা অত্যন্ত ভক্তি শ্রদ্ধার সঙ্গে পুজো আর্চার ব্যবস্থা করেন। মা এর বাড়িতে মা এর পুজো দেখতে ভিড় জমান দেশ বিদেশের অসং্খ্য পুণ্যার্থী ও ভক্ত।