Bankura: আতঙ্কের নাম শুয়োর! এক কামড়েই মৃত্যু বৃদ্ধার

Bankura: এলাকার বাসিন্দাদারে দাবি, শুকরের দল সম্প্রতি করুনা কর্মকার নামের স্থানীয় এক চলচ্ছক্তিহীন বৃদ্ধাকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যল কলেজে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

Bankura: আতঙ্কের নাম শুয়োর! এক কামড়েই মৃত্যু বৃদ্ধার
শুকরের কামড়ে মৃত্যুImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2024 | 4:23 PM

বাঁকুড়া: বেশ কয়েকদিন ধরেই শুকরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গোটা গ্রাম। যার জেরে সারাক্ষণ ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকত স্থানীয় বাসিন্দারা। এই আবহে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। শুকরের কামড়ে আহত স্বহায়সম্বলহীন এক বৃদ্ধা। পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে মৃতার নাম করুণা কর্মকার। এই ঘটনার পর এলাকায় চেপে বসেছে শুকর আতঙ্ক। পরিকাঠামোর অভাবে শুকর নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।

বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই অবাধ বিচরণ অসংখ্য শুকরের। স্থানীয় একাধিক বস্তিতে বাড়ির মধ্যেই শুকর পালন করা হয়। সকাল হলেই সেই শুকরের দলকে ছেড়ে দেয় শুকর পালকরা। এলাকায় অবাধে ঘুরতে থাকা সেই শুকরের দলের হানায় অতিষ্ঠ স্থানীয় মানুষজন। মাঝে মধ্যেই শুকর খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে গৃহস্থের হেঁসেলে। বাদ যায় না স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্নাঘরও।

মাঝেমধ্যেই শুকরের দল তাড়া করে এলাকার শিশুদের। ভয়ে বাড়ির শিশুদের আইসিডিএস কেন্দ্রে পাঠিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন না স্থানীয় অভিভাবকরা। শুকরের আতঙ্কে সারাক্ষণ কাঁটা হয়ে থাকেন আইসিডিএস কর্মীরাও। এরপর এই আতঙ্কই বুধবার থেকে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় লালবাজার এলাকায়।

এলাকার বাসিন্দাদারে দাবি, শুকরের দল সম্প্রতি করুনা কর্মকার নামের স্থানীয় এক চলচ্ছক্তিহীন বৃদ্ধাকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যল কলেজে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। করুণা কর্মকারের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাঁকুড়া পুরসভার তরফে এলাকায় শুকর চাষ নিয়ন্ত্রণ না করায় এলাকা ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পুরসভার দাবি, শুকরগুলিকে নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চাষ করার জন্য বারেবারে মাইক প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পাশাপাশি পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো না থাকায় শুকর দলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ বা সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।