Bankura: ৪৪ ডিগ্রিতেও ওতটা কষ্ট হয়নি, যতটা এখন হচ্ছে, গরমের এই স্পেলে ভিলেন অন্য কেউই
Bankura: পশ্চিমের জেলাগুলিতে এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪০ থেকে ৪৪ ডিগ্রির মধ্যে। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও ৪৫ ডিগ্রির গরম সহ্য করেছে ওই জেলাগুলির মানুষ। বাসিন্দারাই বলছেন, ওত গরমেও এতটা অসহ্য হয়ে ওঠেননি তাঁরা, এখন যতটা হচ্ছেন। কিন্তু গরমের এই স্পেলে ভিলেন হয়ে দেখা দিয়েছে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি।

বাঁকুড়া: একদিকে প্রবল গরম। অন্যদিকে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি। দুয়ের জেরে নাকাল পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষ। প্রবল গরমে মানুষজন দিনের বেলায় সে অর্থে বাড়ির বাইরে পা না দেওয়ায় বদলে গিয়েছে অধিকাংশ ব্যবসার ধরণ। প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। গরমে অসুস্থ রোগীর ভিড় উপচে পড়ছে হাসপাতালগুলিতে। গরমে শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠাতে না চাওয়ায় প্রতিটি স্কুলেই নামমাত্র হাজিরা স্কুল পড়ুয়াদের।
পশ্চিমের জেলাগুলিতে এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪০ থেকে ৪৪ ডিগ্রির মধ্যে। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও ৪৫ ডিগ্রির গরম সহ্য করেছে ওই জেলাগুলির মানুষ। বাসিন্দারাই বলছেন, ওত গরমেও এতটা অসহ্য হয়ে ওঠেননি তাঁরা, এখন যতটা হচ্ছেন। কিন্তু গরমের এই স্পেলে ভিলেন হয়ে দেখা দিয়েছে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি।
প্রবল ভ্যপসা গরমে বাড়ির বাইরে পা রেখে অনেকেই হয়ে পড়ছেন অসুস্থ। ফলে হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা। সরকারি হিসাবে না হলেও বেসরকারি হিসাবে রোদ গরমে অসুস্থ হয়ে মৃতের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘতর হচ্ছে ওই জেলাগুলিতে। প্রবল গরম থেকে বাঁচতে সকাল ৯টা বাজলেই মানুষজন ঢুকে পড়ছেন চার দেওয়ালের মাঝে। ফলে বেলা বাড়তেই গ্রামাঞ্চল তো বটেই শহরাঞ্চলেও রাস্তাঘাট হয়ে পড়ছে শুনশান। ফলে প্রভাব পড়ছে ছোট বড় ব্যবসাতেও। গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই দোকান বন্ধ রাখছেন। যারা দোকান খুলছেন তাঁরাও খদ্দেরের অভাবে দিনভর কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন। তবে সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কিছুটা কমলে মানুষজন রাস্তাঘাটে নামছেন।
সে সময় বিক্রিবাট্টা হওয়ায় বাঁকুড়া সহ অন্যান্য বাজারে দোকান খোলার ব্যাপারে রাতেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দিনের গরম এড়াতে বাধ্য হয়ে রাতে কাজ করছেন রাজমিস্ত্রিরা। প্রবল গরমে সমস্যায় পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারা। অধিকাংশ অভিভাবক পরিবারের শিশুদের স্কুলে পাঠাতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন। ফলে সকালে স্কুল করার পরেও অধিকাংশ স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা থাকছে একেবারে হাতেগোনা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমের চার জেলার মানুষের এখন একটাই কামনা বর্ষার আসুক নেমে।





