AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP-TMC: শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে, তাঁকেই দলে নিয়ে ‘চাপে’ তৃণমূল

BJP-TMC: বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে দলে যোগদান করিয়ে বিড়ম্বনায় তৃনমূল। যোগদান ঘিরে অঞ্চল বনাম ব্লক নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরের বেশ কিছু আইএসএফ সদস্যও তৃণমূলে যোগ দেন।

BJP-TMC: শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে, তাঁকেই দলে নিয়ে ‘চাপে’ তৃণমূল
রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2024 | 11:34 AM
Share

বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরের আইএসএফ ও বিজেপির একঝাঁক নির্বাচিত সদস্যকে নিজেদের দলে যোগদান করাতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ল তৃণমূল। যোগদানের ঘটনায় দলেরই অঞ্চল নেতৃত্বের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বকে। যোগদান করানো হয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্য ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর স্বামীকে। তা নিয়েই এলাকার রাজনৈতিক মহলে বেড়েছে আরও চাপানউতোর। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। ক্ষোভ বেড়েছে দলেরই অন্দরে। এই ঘটনায় এলাকায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে বলে উল্লেখ করে জেলা নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল নেতৃত্ব। ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হয়েছে, দাবি বিজেপির। 

শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দায় তৃনমূলের ব্লক কার্যালয়ে একটি দলীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে নির্বাচিত ৮ জন আইএসএফ ও ১ জন বিজেপি সদস্য-সহ ওই দুই দলের শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই যোগদান পর্ব মিটতেই দলের অন্দরে শুরু হয়ে যায় জোরদার বিতর্ক। মূল বিতর্ক তৈরি হয় পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে বিজেপি থেকে নির্বাচিত সদস্য চন্দনা বাউরি ও তাঁর স্বামীকে ঘিরে। 

চন্দনা বাউরি যে এলাকা থেকে নির্বাচিত সেই লোদনা এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, চন্দনার স্বামী এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত। তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী চন্দনা বাউরিকে দলে যোগদান করানোয় এলাকায় তৃনমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এই যোগদান পর্ব অঞ্চল নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে বলেও চিঠিতে দাবি করেছে তৃণমূলের অঞ্চল নেতৃত্ব। তৃণমূলের নিচু তলার নেতারা এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বিড়ম্বনায় বেড়েছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না বলে কোনওভাবে দায় সারতে দেখা গিয়েছে উপরতলার নেতাদের। 

বিজেপির দাবি, ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়েই একের পর এক বিরোধী নির্বাচিত সদস্যদের নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি মানতে নারাজ তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চন্দনা বাউরি ও তাঁর স্বামীর। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই বেশ খানিকটা বিব্রত দেখায় তাঁদের। এখন দেখার চাপানউতোরের মধ্যে জল কোনদিকে গড়ায়।