Bankura Death: নদীর জলে ভাসছে দেহ, কাছে যেতেই থমকে গেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Bankura: মঙ্গলবার বিকেলে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
বাঁকুড়া: মর্মান্তিক ঘটনা। স্নান করতে নেমে দারকেশ্বরের জলে ডুবে মৃত্যু, মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম ঝাড়ু কুম্ভকার (৪০)। মঙ্গলবার বিকেলে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই আজ দুপুরে দারকেশ্বর নদের রাজগ্রাম ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন রাজগ্রাম কুম্ভকার পাড়ার বছর চল্লিশ বয়সী ঝাড়ু কুম্ভকার। এরপর আর তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় খোঁজ শুরু হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্বারকেশ্বরের জলে তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। পরে বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বস্তুত, মৃতের মা বলেন, ‘সকালে কাজ করতে বেরিয়েছিল। খেয়ে দেয়ে ফিরেছিল। এরপর বলল আমি স্নান করতে যাব দ্বরকেশ্বরে। আমার কোনও কথাই শুনল না। পরে প্রতিবেশীরা জানাল যে জলে ডুবে গিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে দুই সমবয়সী যুবক একসঙ্গে কংসাবতীতে স্নান করতে নেমেছিলেন। তাতেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ভেসে যান একজন। মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এরপর মুকুটমণিপুর থেকে বেশ কিছুটা দূরে দেহটি উদ্ধার হয়। প্রথমে নদীখাতের এক পাশে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। মৃতদেহটি উদ্ধার করলে পরিবারের সদস্য়রা শনাক্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চুরকু হেমব্রম।