Higher Secondary: যে কোনও সময়েই পথ আটকাতে পারে ওরা! ভয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হলে পৌঁছল প্রশাসন

Higher Secondary: বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোট ৫৩ টি হাতি। মোটের উপর সারাবছরই বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল এলাকায় লেগে থাকে হাতির উৎপাত। একরের পর একর ফসলহানির পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই প্রাণহানিরও ঘটনাও ঘটে।

Higher Secondary: যে কোনও সময়েই পথ আটকাতে পারে ওরা! ভয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হলে পৌঁছল প্রশাসন
বাঁকুড়ায় জঙ্গলমহল এলাকাগুলোতে চরম আতঙ্কImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2024 | 11:47 AM

বাঁকুড়া:  মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও জঙ্গলমহল এলাকায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হতে দেখা গেল বন দফতরকে। হাতি উপদ্রুত এলাকার বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রকে বিপদ প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে হুলা পার্টি। যে জঙ্গল রাস্তায় পরীক্ষার্থীরা যাতায়াত করবে সেই রাস্তাতেও মোতায়েন করা হয়েছে হুলা পার্টি। জঙ্গলঘেরা গ্রামগুলি থেকে পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য গাড়িরও ব্যবস্থা করেছে বন দফতর।

বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মোট ৫৩ টি হাতি। মোটের উপর সারাবছরই বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল এলাকায় লেগে থাকে হাতির উৎপাত। একরের পর একর ফসলহানির পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই প্রাণহানিরও ঘটনাও ঘটে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া আসার পথে আশঙ্কা থাকে হাতির দলের মুখে পড়ার।

গত বছর জলপাইগুড়ি জেলায় হাতির হানায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও সতর্ক বন দফতর। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। ইতিমধ্যেই হাতি উপদ্রুত এলাকার বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে বিপদ প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বড়জোড়া হাইস্কুল, বেলিয়াতোড় হাইস্কুল, গদারডিহি হাইস্কুল-সহ মোট ১৪ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়াও হাতি উপদ্রুত জঙ্গল ঘেরা ১০ টি গ্রামের মোট ১২০ জন পরীক্ষার্থীকে বাছাই করে তাঁদের গাড়িতে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। বন দফতরের এমন উদ্যোগে পরীক্ষার্থীরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও অভিভাবকদের দাবি, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুক বন দফতর।