Bankura Bridge: গত বর্ষায় ভেঙে যাওয়া সেতু এখনও মৃত্যুফাঁদ, সেই ফাঁদ টপকেই চলছে যাতায়াত

Bankura: বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরবেদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সীতাজুড়ি জোড় খাল।

Bankura Bridge: গত বর্ষায় ভেঙে যাওয়া সেতু এখনও মৃত্যুফাঁদ, সেই ফাঁদ টপকেই চলছে যাতায়াত
বাঁকুড়া ভগ্ন দশায় ব্রিজ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 8:30 PM

বাঁকুড়া: গত বর্ষার ঘটনা। বৃষ্টিতে পুরো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল একপাশের রাস্তা। তারপর কেটে গিয়েছে একটা গোটা বছর। সেতু মেরামতির আবেদন নিয়ে এই দফতর থেকে ওই দফতরে ছুটেছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি! অগত্যা ভাঙা সেতুর মৃত্যু ফাঁদ পেরিয়েই স্কুল-কলেজ থেকে হাসপাতাল যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার মানুষ। সামনেই বর্ষা। তার আগে এই সেতু মেরামতি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজাও।

বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরবেদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সীতাজুড়ি জোড় খাল। এই জোড় খাল পেরিয়েই নিত্যদিনের প্রয়োজনে ভাগাবাঁধ, খিলানজুড়ি, মালিনদাসী ও খেজুরবেদিয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। চিকিৎসা থেকে লেখাপড়া, স্কুল কলেজ থেকে বাজার হাট সব ব্যাপারেই গ্রামগুলি খালের অপর পাড়ে থাকা পুরন্দরপুরের উপর নির্ভরশীল। গত বর্ষায় এই খালের উপর থাকা পাকা সেতুর সংযোগকারী রাস্তার একটি বড় অংশ জলের তোড়ে ভেসে যায়। কার্যত মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় ওই সেতু। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দু’পারের মানুষের যোগাযোগ।

বর্ষার জল কমার পর ওই ভাঙা সেতু দিয়েই নদী পারাপারে বাধ্য হন স্থানীয় মানুষজন। এলাকাবাসীদের দাবি, ওই সেতু দিয়ে পারাপার না করলে প্রায় আট কিলোমিটার ঘুরপথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধরে তাঁদের যেতে হবে পুরন্দরপুর বাজারে। তাছাড়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় সেই রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও যথেষ্ট। স্বাভাবিক ভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। একাধিক বার ঘটেছে দুর্ঘটনাও।

সেতু মেরামতির আবেদন নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে বারবার ছুটে গিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু প্রতিবারই এলাকার মানুষকে ফিরতে হয়েছে শুকনো আশ্বাসটুকু নিয়ে। সামনেই বর্ষা। বর্ষায় সীতাজুড়ি খাল ফের ফুলে ফেঁপে উঠলে কীভাবে হবে যাতায়াত, আশঙ্কার প্রহর গুনছেন স্থানীয়রা।

বিজেপির দাবি ওই এলাকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় ওই সেতু মেরামতির কাজ করতে চাইছে না শাসক তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। দ্রুত ওই সেতু মেরামতির কাজ শুরু হবে। স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট প্রকল্পের টাকায় ওই সেতু মেরামতির পরিকল্পনা করা হয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শুরু করা হবে।