Bankura: কারোর শ্বাসকষ্ট, কারোর চর্মরোগ, বিষাক্ত পার্থেনিয়াম সাফাইয়ে হাত লাগালেন কাউন্সিলর সমেত এলাকাবাসী

Bankura: আর পাঁচটা শহরের মতোই বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা পার্থেনিয়াম। শহরের রাস্তাঘাটের দুপাশ ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে পার্থেনিয়ামের জঙ্গল।

Bankura: কারোর শ্বাসকষ্ট, কারোর চর্মরোগ, বিষাক্ত পার্থেনিয়াম সাফাইয়ে হাত লাগালেন কাউন্সিলর সমেত এলাকাবাসী
পার্থেনিয়াম নিধনে কাউন্সিলর সমেত এলাকাবাসী (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 1:59 PM

বাঁকুড়া: আর কয়েকদিন তারপর আসবে বর্ষা। কিন্তু তার আগেই বিপত্তি। বিষাক্ত পার্থেনিয়ামে ভরেছে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়। ধীরে-ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ওয়ার্ডের ভিতরে। এদিকে, অভিযোগ পুরসভা সেভাবে কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। অগত্যা এলাকার কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে পার্থেনিয়াম পরিষ্কারে নামলেন এলাকার গৃহবধূ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আর পাঁচটা শহরের মতোই বাঁকুড়া (Bankura) শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা পার্থেনিয়াম। শহরের রাস্তাঘাটের দুপাশ ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে পার্থেনিয়ামের জঙ্গল। বিষাক্ত সেই গাছের জঙ্গল রাস্তা ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। পার্থেনিয়ামের বিষাক্ত রেনু হাওয়ায় মিশে যাওয়ায় শহরের মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে। যার কারণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগের মতো অসুখ। বর্ষার আগেই পার্থেনিয়াম ধ্বংস করে দিতে পারলে তার রেণু ছড়ানো ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া পুরসভার তরফে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অগত্যা বাঁকুড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে মাঠপাড়া ও সুকান্ত পল্লি এলাকার গৃহবধূ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ঝুড়ি কোদাল হাতে নামলেন পার্থেনিয়াম নিধনে।

গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে থাকা পার্কের চারিদিকে গজিয়ে ওঠা পার্থেনিয়ামের জঙ্গল পুরো পরিষ্কারের। এলাকার কাউন্সিলর থেকে শুরু করে স্থানীয়দের দাবি এই পার্থেনিয়াম নিধন যজ্ঞ চলবে আগামীদিনেও। এই বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিলীপ আগরওয়াল বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন দেখি পার্থেনিয়াম গাছ দিনের পর দিন বাড়ছে। পুরসভা মাঝের মধ্যে উদ্যোগ নেয় সেগুলি নির্মূল করার জন্য। যারা বয়স্ক মানুষ প্রাতঃভ্রমণে আসেন তাঁরা বারবার আমায় বলছিলেন তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমায় একদিন ডেকে দেখানও তাঁরা। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ওয়ার্ড থেকে ওই এলাকা পার্থেনিয়াম মুক্ত করতে হবে।’ অন্যদিকে, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘খুব ভালো উদ্যোগ। কাউন্সিলর এইভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমরা খুবই আপ্লুত।’

বস্তুত, গতকাল বাঁকুড়ার দু নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরবেদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সীতাজুড়ি জোড় খাল। এই জোড় খাল পেরিয়েই নিত্যদিনের প্রয়োজনে ভাগাবাঁধ, খিলানজুড়ি, মালিনদাসী ও খেজুরবেদিয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। চিকিৎসা থেকে লেখাপড়া, স্কুল কলেজ থেকে বাজার হাট সব ব্যাপারেই গ্রামগুলি খালের অপর পাড়ে থাকা পুরন্দরপুরের উপর নির্ভরশীল। গত বর্ষায় এই খালের উপর থাকা পাকা সেতুর সংযোগকারী রাস্তার একটি বড় অংশ জলের তোড়ে ভেসে যায়। কার্যত মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় ওই সেতু। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দু’পারের মানুষের যোগাযোগ।