Bankura Deadbody Recover: কুয়োয় ভাসছে যুবকের দেহ, পরতে-পরতে বাড়ছে রহস্য
Bankura death:স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম পবিত্র চৌধুরী। বুধবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়খাতড়ার রামকৃষ্ণ সরনি এলাকার একটি কুয়ো থেকে।
বাঁকুড়া: জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ’দেড়েক জণগন। তাঁদের একটাই দাবি গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু কাকে? কেনই বা গ্রেফতারের প্রসঙ্গ উঠে আসছে? কানাঘুষো থেকে জানা গেল এলাকার একটি কুয়ো থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কেউ খুন করে ওই যুবককে ফেলে রেখে গিয়েছেন। এমনটাই দাবি তাঁদের। সেই কারণে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে আগুন জ্বালিয়ে সোনামুখী বর্ধমান সড়ক অবরোধ পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম পবিত্র চৌধুরী। বুধবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়খাতড়ার রামকৃষ্ণ সরনি এলাকার একটি কুয়ো থেকে। পবিত্রকে ধাক্কা দিয়ে কুয়োতে ফেলে খুন করা হয়েছে বলে দাবী তোলে পরিবার। আজ ময়নাতদন্তের পর যুবকের মৃতদেহ গ্রামে যেতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় উত্তেজিত জনতা দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় মৃতদেহ রেখে আগুন জ্বালিয়ে সোনামুখী রসুলপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার দেউলি গ্রামের বছর ২৯ এর বাসিন্দা পবিত্র চৌধুরী কর্মসূত্রে বাঁকুড়ায় থাকতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে খাতড়ার রামকৃষ্ণ সরনির একটি কুয়ো থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে খাতড়া থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। আজ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের পর সন্ধ্যাতে পবিত্রর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পাত্রসায়ের থানার দেউলি গ্রামে।
এরপরই উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ রাস্তায় রেখে ও রাস্তায় আগুন জ্বেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, পবিত্রকে খুন করে কুয়োয় ফেলে দিয়েছিল তারই বন্ধু সোমসার গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। এই ঘটনায় পুলিশের এক আধিকারিকের যোগসাজসেরও অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত ও অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিও তোলে মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা।