Goverment Office: বেলা ১১টাতেও আসেননি সরকারি কর্মীরা, একজন বললেন, ‘৭ মাস বেতন নেই, টাইমে টাকা দিক টাইমে ঢুকব’

Bankura Panchayat Office: টিভি ৯ বাংলা প্রশ্ন করতেই একজন উত্তর দিলেন, 'সাত বছর বেতন পাইনি তাই ইচ্ছামতো আসি।'অন্যজন আবার বললেন, 'বাইকটা সমস্যা করছে।' বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সেখানে বেলা এগারোটার চিত্র বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কার্যত মানছেন না সরকারি কর্মচারিরা।

Goverment Office: বেলা ১১টাতেও আসেননি সরকারি কর্মীরা, একজন বললেন, '৭ মাস বেতন নেই, টাইমে টাকা দিক টাইমে ঢুকব'
ঠিক মতো আসেন না কর্মীরা?Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2024 | 6:43 PM

বাঁকুড়া: ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা। খাঁ-খাঁ করছে সরকারি অফিস। এ দিকে বাইরে তখন লাইন পড়ছে উপভোক্তাদের। সরকারি কর্মীরাই নেই তো কার কাছে যাবেন তাঁরা। যেখানে সরকারি দফতরে কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে বারংবার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সরকারি কর্মীরা কি আদৌ সে কথা মানছেন? টিভি ৯ বাংলা প্রশ্ন করতেই একজন উত্তর দিলেন, ‘সাত বছর বেতন পাইনি তাই ইচ্ছামতো আসি। ‘অন্যজন আবার বললেন, ‘বাইকটা সমস্যা করছে।’ বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সেখানে বেলা এগারোটার চিত্র বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ কার্যত মানছেন না সরকারি কর্মচারিরা।

আজ সপ্তাহের প্রথম দিন। সোমবার। ঘড়ির কাঁটায় বেলা এগারোটা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেলা দশটা নাগাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে হাজির হওয়ার কথা নির্মান সহায়ক থেকে শুরু করে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট,সেক্রেটারি ইন চার্জের। কিন্তু বেলা এগারোটায় বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে যা দেখা গেল তা সরকারি দফতরের কর্মসংস্কৃতির হাল বোঝার জন্য যথেষ্ট। তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যথাসময়ে দফতরে হাজির হলেও বেলা এগারোটাতেও হাজির হননি কোনও কর্মী আধিকারিক। ফলে পরিষেবা নিতে এসেও হয়রান হতে স্থানীয় বাসিন্দারা। কার্যত কর্মী আধিকারিকদের এহেন ‘অ্যাটিটিউট’ ‘আসি যাই মাইনে পাই’ আচরণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে নিজের দফতরের কর্মী আধিকারিকদের সাধ্য মতো বাঁচানোর চেষ্টা করলেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর সাফাই প্রতিদিনই কর্মী আধিকারিকরা সময়ে দফতরে আসেন। আজ কোনও কারণে দেরি হচ্ছে।

বেলা এগারোটার পর এক জন এক জন করে কর্মী আধিকারিকরা এসে পৌঁছন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই দেরীর কারণ হিসাবে কেউ বাইক খারাপ হয়ে যাওয়ার অজুহাত দিলেন। পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী অরূপ আচার্য বললেন, “বাইকে সমস্যা করছিল। বাড়িতেও কিছু সমস্যা ছিল। সবাই সব সময় সময়েই আসে। আমাদের কাজের অনেক চাপ। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত থাকতে হয় অফিসে। তাই একটু দেরী হল।” এক ধাপ এগিয়ে পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী কুন্তল দে বলেন, “আমরা চুক্তিভিত্তিক কর্মী। কখনও বারোটাতেও আসি। সাত বছর বেতন পাইনি। সরকার যখনই টাইমে টাকা দেবে আমরা সময়ে অফিসে আসব। আমাদের চাষ করে খেতে হয়। সাত হাজার টাকায় সংসার চলবে? আমরা ২০১০ সালের মার্চ মাসে নিয়োগ।