Train in Jayrambati: জট কাটিয়ে ‘মায়ের গাঁ’ জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা, এক্সপ্রেসের দাবি পৌঁছাল দিল্লির দরবারে
Train in Jayrambati: রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে সারদার দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। যদিও তারপর একাধিকবার থমকেছে কাজ।

বাঁকুড়া: দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সারদা দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা। এদিন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন জয়রামবাটির পবিত্র মাটি ছুঁতেই ট্রেনকে ঘিরে উপচে পড়ল এলাকার হাজার হাজার মানুষের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস আর আবেগ। অন্যদিকে এদিনই কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির ট্রেন যাত্রার প্রসঙ্গ লোকসভায় তুলে দ্রুত ওই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানালেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, এরপর সবুজ সঙ্কেত পেলে লোকাল এক্সপ্রেস সবই চলবে ওই লাইনে।
রেলপথে প্রাচীন মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুর তথা রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে সারদার দেবীর পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটিকে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গিয়েছে। নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে পার হয়েছে গোটা প্রকল্প। ধাপে ধাপে প্রকল্পের কাজ শেষ করে কখনও বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত আবার কখনও সেই রেলপথ সম্প্রসারিত করে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করেছে রেল। কিন্তু, তারপর থেকেই ভাবাদিঘি সমস্যার কারণে শ্লথ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত ধীর গতিতে হলেও চলতি বছরের গোড়াতেই ময়নাপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
নতুন পথে গোপীনাথপুর ও জয়রামবাটি দু’টি স্টেশন তৈরি করা হয়। তারপরেই রেলের তরফে ঘোষণা করা হয় মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান জয়রামবাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে। আর তারই প্রক্রিয়া হিসাবে এদিন আরও একধাপ এগলো রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন চালানো হয় সম্প্রসারিত ওই রেলপথে। বিশেষ ট্রেন হলেও এই প্রথম মায়ের গাঁয়ে পৌঁছাচ্ছে ট্রেন। স্বাভাবিকভাবেই জয়রামবাটির মাতৃ মন্দিরের সন্যাসী ভক্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের আবেগ আর উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এদিন রেলের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের বহু আগে থেকেই ট্রেন দেখতে সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমান জয়রামবাটি স্টেশনে। উপচে পড়া সেই ভিড় ঠেলে সাড়ে তিনটা নাগাদ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন পৌঁছে যায় মায়ের দেশে। প্রথম দিনের এই ট্রেন যাত্রার সাক্ষী থাকতে স্টেশনে হাজির ছিলেন মাতৃ মন্দিরের ভক্ত সন্যাসীরাও। খুশি স্থানীয়রা। তাঁরা বলছেন, আগামীদিনে ওই রেলপথে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হলে জয়রামবাটিতে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আনাগোনা যেমন সহজতর হবে, তেমনই বদলে যাবে গোটা এলাকার আর্থ সামাজিক পরিবেশও। দেশের পর্যটন মানচিত্রেও করে নিতে পারে বড় জায়গা।





